নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারাদেশে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে চাই। এক্ষেত্রে সব রকম পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা চাই যতগুলো রাজনৈতিক সংগঠনের নিবন্ধন আছে, তারা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। নির্বাচনটা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। এটা আমাদের ঐকান্তিক চাওয়া। আমরা বার বার চেষ্টা করছি, যারা নির্বাচনে আসতে চাইছে না, তাদের নির্বাচনে আনতে। আমরা এখনো আশাবাদী তারা নির্বাচনে আসবেন। যদি আসেন তাহলে অবশ্যই এটি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে নির্বাচনের মেয়াদকাল সংবিধানে যেভাবে রয়েছে, সেই সময়ের মধ্যেই আসতে হবে।
২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় বগুড়া বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে নির্বাচনের আগে রাজশাহী বিভাগের ৪ জেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক আর না আসুক সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে। বিগত দিনও সেনাবাহিনী মাঠে ছিল। তবে এই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর বিষটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রয়োজন হলে অবশ্যই তারা মাঠে থাকবে। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিবন্ধিত ৩০টি দল অংশগ্রহণ করেছে। আমরা সবসময় চেষ্টা করবো সষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার।
সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ।
আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ আল মারুফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন।
এ ছাড়া বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), জেলা ও বিভাগের কোর কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চার জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।