ভোটে বাধা প্রদান করলে আইনের আওতায় আনা হবে : ইসি রাশেদা

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘কোনো ভোটারকে ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করলে বা ভয়ভীতি দেখালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এই অবস্থা তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন। এই পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি আমরা।’
২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর নির্বাচন কমিশনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

ইসি রাশেদা আরও বলেন, ‘কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি তার প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে। পরে নির্বাচন কমিশনার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথেও মতবিনিময় করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সকলকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরোপক্ষ নির্বাচন করতে চাই। যাতে প্রার্থীরা নির্দ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন। সেজন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যাতে পরিবেশটা বিঘ্ন না হয়, পরিবেশটা সুন্দর হয়। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থীদের নির্দ্বিধায় ভোট দিতে পারেন। আমি ভোটারদের বলব, আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন এবং আপনার পচ্ছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান করবেন।’


ইসি রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, কোনো ভোটারকে যদি কেউ তার বাড়িতে, বাইরে, ভোট কেন্দ্রে বাধা বা হুকমি, ভয়-ভীতি দেখি আতঙ্ক সৃষ্টি করে সে ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং তার শাস্তি হবে। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। ভোটের মাঠে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তাদের সামনে কোনো প্রকার অপরাধ সংঘটিত হলে তারা তদন্ত করে রিপোর্ট কমিশনে পাঠাবেন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। ইতোমধ্য অনেক প্রার্থীকে তাদের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে শোকজ করা হয়েছে। যদি ভঙ্গের সত্যতা পায় তাহলে কমিশন সেই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলও করতে পারেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) , অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন হায়দার, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূইঞা, পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।