শেরপুরে ছাগলের পেট থেকে বাছুরের জন্ম! অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ শেরপুরে ছাগলের পেট থেকে ‘গরুর বাছুর’ হয়েছে- এমন খবরে হইচই শুরু হয়েছে জেলাজুড়ে। ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের একটি ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট হওয়ার পর সেটি ভাইরাল হয়। আজব এ ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে। তবে ছাগলের বাচ্চাটি মারা যাওয়ায় সেটি আদৌ গরুর বাছুর নাকি বড় আকারের ছাগলের বাচ্চা ছিল সেটি পুরোপুরি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিকভাবে ছাগলের পেট থেকে বাছুর হওয়া সম্ভব নয়। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কুসুমহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মী মো. আবু বকর সিদ্দিকের পালিত একটি ক্রসবিডিং ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়। এর মধ্যে একটি স্বাভাবিক ছাগলের বাচ্চার মতো হলেও, আরেকটি বাচ্চা দেখতে অনেক বড়সড় ও বাছুর আকৃতির মতো দেখা যায়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের লোকজন ছাগলের বাচ্চাটিকে দেখার জন্য আবু বকর সিদ্দিকের বাড়িতে ভিড় করেন। অতি উৎসাহী কেউ কেউ ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে জন্ম নেওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই বাচ্চাটি মারা যায়। ছাগলের মালিক মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই ছাগলটি এর আগে আরও দুইবার স্বাভাবিক ও সুস্থ বাচ্চা প্রসব করেছে। তবে এবার দুটি বাচ্চা প্রসব করলে একটি বাচ্চাকে ব্যতিক্রম ও বড় দেখা যায়। অনেকেই বাচ্চাটিকে দেখে বলেছেন গরুর বাচ্চা, আবার অনেকেই বলছেন ছাগল। কেউ কেউ ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাটা দুই/তিন ঘণ্টার মধ্যে মারা গেছে। পরে আমরা সেটি মাটিচাপা দিয়ে দিছি। স্থানীয় জামিরন বেগম বলেন, আমরা নিজের চোখে দেখছি, বাচ্চাটিকে একবারে গরুর মতোই দেখা গেছে। নাক, কান, মুখ ও লেজ গরুর মতোই। সিয়াম মিয়া নামে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের পাঁচ মাসের একটি গরুর বাচ্চা মারা গিয়েছিল। ওই বাচ্চা আর এই ছাগলের বাচ্চা দেখতে একইরকম মনে হয়েছে। প্রায় বেশিরভাগ মানুষই বলেছে এটি বাছুর। মো. শাহিন মিয়া বলেন, বাজার থেকে বাড়িতে এসে শুনি ছাগলের পেট থেকে গরুর বাচ্চা হয়েছে। পরে বকর কাকার বাড়িতে গিয়ে দেখি দুইটা বাচ্চা হইছে, একটা ছাগলের বাচ্চাই। আরেকটা গরুর বাছুরের মতো দেখা যায়। পরে ছবি আর ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়ছি। এরপর অনেকেই এসে বাচ্চাটিকে দেখে গেছে। মো. নূর হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী জানায়, এটা একটা আশ্চর্য ঘটনা। যা ভাবার মতো না। অনেকেই আসতেছে বাচ্চাটি দেখার জন্য। তবে বাচ্চাটি মারা গেছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে এমনটি কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলেনা বেগম। তিনি বলেন, এটি অবাস্তব। বৈজ্ঞানিকভাবে এটি হওয়ার সুযোগই নেই। এটি রামছাগলের কোনো একটা জাত হতে পারে। Related posts:শেরপুরে কবি তালাত মাহমুদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিতক্লিনআপ শেরপুরের উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন হলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা পেয়ে অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন : শেরপুরে সুভাষ চন্দ বাদল Post Views: ২৪৬ SHARES শেরপুর বিষয়: