ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৪

‘নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখার প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ভুলের কারণে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে, আমাদের ছোট একটা, ছোট না আমি বলব যে বড়ই ভুল। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরে সেটা সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটা হাইলাইটেড হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সাধারণ মানের খেজুর ও বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভুলত্রুটি হয় যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই, আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্বউদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল আর আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে, তাই তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এর জন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এর আগে, ১১ মার্চ খেজুরের দাম নির্ধারণ করে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ফ্রেস ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে প্রতি কেজি ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ এর দাম ১৫০-১৬৫ টাকা এবং ‘বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর’ এর দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
পরে ‘অতিসাধারণ/নিম্নমানের খেজুর’ নির্ধারণ করে দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।