আমি যখন যা পাই তা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করি: নকলায় সংসদ উপনেতা মতিয়া

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৪

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেছেন, নারীদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়া এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে সবকিছু করছেন। তিনি ৩ এপ্রিল বুধবার সকালে শেরপুরের নকলায় উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে উরফা ইউনিয়নের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির মেধাক্রমানুসারে প্রথম ১০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে থ্রি-পিস, নবম শ্রেণির মেধাক্রমানুসারে প্রথম ৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত সিনথেটিক শাড়ী ও থ্রি-পিস এবং উরফা ইউনিয়নের দরিদ্র, অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি, ট্রাউজার, টি-শার্ট ও শার্ট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নারীশিক্ষাকে অবৈতনিক করেছেন। নারীশিক্ষার্থীদের ঈদসহ পূজাপার্বণে শাড়ি, থ্রি-পিস দিচ্ছেন। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বইসহ দিচ্ছেন আর্থিক প্রণোদনা। এর অর্থ একটাই নারীরা যেন সমাজে অবহেলিত না থাকে। তারা যেন পরিবারের বোঝা না হয়ে উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারকে স্বচ্ছলতা দিতে পারেন। দেশের অর্নৈতিক চালিকাশক্তিকে আরও গতিশীল করতে পারেন।
মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, আমি যখন যা পাই তা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করি। এলাকার উন্নয়নে ব্যয় করি। ইচ্ছে করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে আমরা আর্থিক প্রণোদনাসহ ঈদ উপহারের আওতায় আনতে পারি। সে সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। কিন্তু এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়া নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকবে না। সুতরাং প্রণোদনা পেতে হলে, ঈদ উপহার পেতে হলে তাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রম করে ভাল ফলাফল করতে হবে। প্রতিযোগিতায় যারা টিকবে শুধু তারাই প্রণোদনা ও ঈদ উপহারের আওতায় আসবে।
ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ, বিএডিসি’র উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ সরকার, উরফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এফ এম কামরুল আলম রঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন তিনি নকলা উপজেলায় মোট ৪ হাজার ৬০০ জনের মধ্যে শাড়ি, শার্ট, ট্রাউজার ও টি শার্ট এবং টপ টেন শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০৪ টি থ্রি পিস ও শাড়ি বিতরণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী নকলায় পৌঁছলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম।