শেরপুর কৃষি ব্যাংকে একদিনের হালখাতায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন কৃষকরা

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যজুড়ে রয়েছে শুভ হালখাতা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষিঋণ পরিশোধ করতে শেরপুর জেলায় কৃষি ব্যাংকের ১৬টি শাখায় একযোগে হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, একদিনে ১৬টি শাখায় মোট ৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করেছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, হালখাতাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকের ঋণগ্রাহকদের অতি বিনয়ের সাথে টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানায়। কৃষকদের ধান কাটার সময় না হলেও ব্যাংকের অনুরোধে এই টাকা পরিশোধ করেছেন তারা। কৃষকরা জানিয়েছেন, কষ্ট হলেও ব্যাংক কর্তাদের অনুরোধ রেখেছেন।
কেউ ঋণের অর্ধেক, কেউ ঋনের একটি অংশ নগদ হাতে নিয়ে ব্যাংকে হাজির হন। তবে ধান কাটা হলে অনেকেই সমুদয় টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছেন। হালখাতায় আসা কৃষকদের ব্যাংক কর্তারা সালাম দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে চেয়ারে বসিয়ে প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা পানি, শরবত, মিষ্টান্ন ও ফলমুখ করান। ব্যাংকগুলোকে সাজানো হয় রঙিন কাগজ, নানা রঙের ঝালট দিয়ে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপ আলোচনায় ঋণদাতা ও গ্রহিতাদের মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, ওই আদায়কৃত টাকার মধ্যে মন্দ বা কুঋণ আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। আর নিয়মিত ঋণগ্রহিতা (মন্দ ঋণ হওয়ার পথে) পরিশোধ করেছেন ৪ কোটি ৪৮ লাখ। ঋণ আদায়ের মধ্যে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আদায় করে প্রথম হয়েছে শেরপুর কৃষি ব্যাংক শাখা। ১ কোটি ২ লাখ টাকা আদায় করে দ্বিতীয় হয়েছে ঝিনাইগাতী শাখা। আর ৮৬ লাখ টাকা আদায় করে তৃতীয় হয়েছে শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা কৃষি ব্যাংক শাখা। তবে শীর্ষ আদায়কৃত ব্যাংক গুলোর বিনিয়োগকৃত ঋণের পরিমাণও বেশী।
শেরপুর কৃষি ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও কৃষক জনপ্রতিনিধি সকলের প্রচেষ্টায় এই সফলতা। অসময়ে কৃষকরা যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে আগামীতে কৃষি ব্যাংক আরও অনুপ্রাণিত হবে। ধান উঠার পর আবারও ঋণ পরিশোধ করতে নবান্নের হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে এবং কৃষকদের প্রতি আবেদন জানানো হবে।