কতিপয় সাবেক কর্মকর্তার সম্পদের তদন্ত চলছে, এখনই কিছু বলা ঠিক হবে না: খুলনায় আইজিপি

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘কতিপয় পুলিশের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাই এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।’
২৬ জুন বুধবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যম নিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতি প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়েছে, যেখানে সব ভুল বোঝাবুঝি আলোচনার মধ্যমে নিরসন হবে।’
পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় ১০০ বছরের ওপরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি।’
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তালা লাগানো থাকে না। সব সময় দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।’
আইজিপি বলেন, ‘সুন্দরবন দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব।’ সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
এর আগে আইজিপি মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।
পরে তিনি পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।