টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিন নদীর বাঁধে ভাঙন

প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৪

টানা বর্ষণ ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের কারনে শেরপুরের দুই উপজেলার তিন নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এসব ভাঙা অংশ দিয়ে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। এছাড়া নদীর বাঁধ উপচে ঢলের পানি প্রবেশ করছে আশপাশের এলাকায়।
তবে আশার কথা হলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর থেকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে সব নদীর পানি।
ঝিনাইগাতীতে প্রবল ঢলের স্রোতে মহারশী, সোমেশ্বরী নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী বাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। একইসাথে উপজেলার রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, ধানশাইল, কাংশা, ঝিনাইগাতী, চতল ও বনগাঁওসহ অন্তত ২০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করে।
নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে প্রবল বেগে ঢল নামে। উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের সন্নাসীভিটা নয়াপাড়া এলাকায় ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। পৌর শহরের গড়কান্দা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে। খালভাঙ্গা এলাকায় অন্তত তিনশ মিটার বাঁধ উপচে আশপাশের এলাকায় ঢলের পানি প্রবেশ করে।
মঙ্গলবার সকালে গোল্লারপাড় এলাকায় শেরপুর-নালিতাবাড়ী সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়, ফলে ব্যাহত হয় যানচলাচল, পরে বিকালে পানি নেমে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এসব এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় ভেসে উঠতে শুরু করেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। দুইটি উপজেলায় বিভিন্নস্থানে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে শতাধিক মাছের ঘের, বিধ্বস্থ হয়েছে অন্তত ২০টি বসত বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েক কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক। এখনো পানি বন্দি রয়েছে প্রায় এক হাজার পরিবার। ৩০টি গ্রামের নিম্নাচলে জলাবদ্ধতা রয়েছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমনের বীজতলা, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশকিছু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও গাছপালা। প্রতি বছর এমন ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে নদীপাড়ের স্থানীয়রা।