তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে ইইউভুক্ত চার দেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি দেশ ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান জানান, এ তিন হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ২০৩২ সাল পর্যন্ত যাতে আমাদের পণ্যের জন্য ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্কহ্রাস সুবিধাসহ এখন যে অন্যান্য সুবিধা পাই, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রিট্রিট
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১১-১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।
রিট্রিটের সাইডলাইনে ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী হাছান জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য পচনশীল পণ্য আমদানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়টি আবারও এসেছে। তিস্তা বিষয়ে কারিগরী দল প্রেরণ, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তি ও জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। কিন্তু সেটি রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর।
ট্রাম্পের ওপর গুলির নিন্দা
সাংবাদিকরা এসময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবর্ষণে তার আহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। রাজনীতিতে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমাদের দেশে যেমন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয় সেটি কখনো কাম্য নয়। এটি অনভিপ্রেত, আইনবিরোধী।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ট্রাম্পের ওপর এ হামলা নিয়ে তিনি আরও বলেন, অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কখনও ভায়োলেন্স ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হামলায় আমরা কনসার্ন এবং আমরা নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে ভায়োলেন্স থাকা উচিত নয় সেটি আমরা মনে করি।