৩-৪ দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২৪ আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করবো। আমরা বাধ্য হয়েই কারফিউ চালু করেছি। আমরা আশা করি এই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের’ পরিবারদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের কোটা আন্দোলন একটা সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আমাদের পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্যের সাথে এ আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। এ আন্দোলনে আমরা বর্বরতা দেখেছি। এ আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে তা মানুষ জানে। এটা সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর দেশে পরিণত করার জন্য যারা ইন্ধন দিয়েছে তারা ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজেরাই সামনে নেমে এসেছিল। তিনি বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) আন্দোলনে যেসব দাবি করেছে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে মেরে ফাঁসি দিয়ে গাছে টানিয়ে রাখা হয়েছে। এ চিত্র আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন বাংলা ভাই যে জঙ্গি উত্থান করেছিল এই জামায়াত-বিএনপিও একই কাজ করেছে। আমরা মনে করি, সবাই মিলে এটাকে প্রতিহত করবো। এই গোষ্ঠীকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেবো না। সহিংসতায় জড়িত এবং নাশকতাকারীদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে তাদের একের পর এককে চিহ্নিত করবো। তাদের আইনের মুখোমুখি করবো। এটা থেকে আমরা এক পা-ও সরে দাঁড়াবো না। মন্ত্রী বলেন, আমরা বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছি। আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি। তারা সহযোগিতা করছে। এই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের উত্থান, বিএনপি-জামায়াতের চক্রান্ত ইতোমধ্যে আমরা কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছি। আগামী দু-চার দিনের মধ্যে আশা করি সবই কন্ট্রোল করে নিয়ে আসবো। কারণ দেশের মানুষ এটা পছন্দ করছে না। এখন কারফিউ শিথিল, সামনে কি পরিকল্পনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা তো কারফিউ রাখতে চাই না। থানা আক্রমণ করছে, পুলিশ মেরে ফেলছে, কেপিআইগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা আইন বা কারফিউ জারি করেছি। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হলে, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হয়ে যাবে। সেনাবাহিনী তাদের কাজে চলে যাবে। কারফিউ প্রত্যাহার হবে এবং জনজীবন আবারও স্বাভাবিক গতিতে চলবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি সেটি ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছি। Related posts:বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাআরও ৪ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ দিবে পুলিশ‘মোশতাক, জিয়ার মতো মীরজাফররা আর যেন ক্ষমতায় না আসে’ Post Views: ৯৬ SHARES জাতীয় বিষয়: