শেরপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজিকে শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৪

৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া শেরপুর সদর থানা পরিদর্শনে এসে শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) খন্দকার নজমুল হাসান।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর তিনটায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া শেরপুর সদর থানা ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি সদর থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পুলিশের মনোবল ধরে রাখতে তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তিনি পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।
পরিদর্শন শেষে ডিআইজি বলেন, সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে পুলিশ নতুন উদ্যোমে কাজে ফিরেছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে। পুলিশ দ্বারা সাধারণ মানুষ যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে মনোযোগ দেয়ার জন্য সকলকে মানবিক হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকাণ্ডের সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুবিচার নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাংলাদেশ পুলিশ।
এসময় শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডিআইজি শাহ মো. আবিদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় ডিআইজি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শেরপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনেকের ডিআইজিকে কাছে পেয়ে আজকের দিনটিকে স্মরণীয় করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সেলফি তোলেন।
এসময় ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার নজমুল হাসান পিপিএম (বার), শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ মোঃ খোরশেদ আলম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আরাফাতুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সাইদুর রহমান, সদর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান, সদর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) হাসিবুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট দুপুরে বিক্ষুব্ধ জনতা শেরপুর সদর থানায় আক্রমণ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করায় সেদিন থেকেই থানার সকল প্রকার পুলিশিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার ৯ আগস্ট থেকে নিজ কার্যালয়ের একটি অংশে শেরপুর সদর থানায় কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু করেন। সদর থানার অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই থানা ভবনে সকল কার্যক্রম শুরু করা হবে।