আদালতে কাঁদলেন দীপু মনি, ফাঁসির দাবিতে স্লোগান অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৪ আওয়ামী লীগ টানা চার দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে তিন বারই ছিলেন মন্ত্রী। দলেরও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সদ্য সাবেক সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি এবার গ্রেফতার হয়েছেন একটি হত্যা মামলায়। আদালত তার চার দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেছে। রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে তিনি আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন। এতে আরও ভেঙে পড়েন সাবেক প্রভাবশালী এই মন্ত্রী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ডা. দীপু মনি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালতে। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নিহত মুদি দোকানি আবু সায়েদকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় দীপু মনির চার দিনের এবং আরিফ খান জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানির জন্য তাদের আদালতে তোলা হয়। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। গারদখানা থেকে সিএমএম আদালতের দুই তলায় ২৮নং কোর্টে আনা হয়। এসময় দীপু মনি কাঁদছিলেন। তবে জয় ছিলেন চুপচাপ। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। আদালতে শুনানিকালেও দীপু মনির কান্না থামেনি। এসময় জয় কিছু বলতে চান। তবে আদালত কথা বলার অনুমতি দেননি। রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ‘ভিকটিমকে হত্যার ঘটনার বিষয়ে এ দুই আসামি জ্ঞাত আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার ভিকটিমকে হত্যায় হুকুমদাতা, উসকানিদাতাদের নামসহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাপর আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন, এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং মামলার ভিকটিমকে হত্যাকারী, হত্যার হুকুম দানকারী, উসকানিদানকারী ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের নাম ও ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেফতারের নিমিত্তে ডা. দীপু মনি (৫১) এবং আরিফ খান জয়কে (৫৩) দশ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশদানে আদালতের সদয় মর্জি হয়।’ এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বারিধারা থেকে ডা. দীপু মনিকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় আরিফ খান জয়কে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। Related posts:শেরপুরে পৌর এলাকার কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলো শ্রমিক নেতা আরিফজীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ করে গ্রামগুলোকে সাজাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী২ জুন থেকে ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ঘোষণা Post Views: ১১১ SHARES জাতীয় বিষয়: