বাধ্যতামূলক অবসরে সেনাবাহিনীর ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়। অবসরে যাওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন- লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল হামিদুল হক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর তিনজন অফিসারকে আর্মি অ্যাক্ট সেকশন-১৮, আর্মি অ্যাক্ট (রুলস) ১২(১), আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ৭৮(সি), ২৫৩ (সি) (২), ২৬১, সংশোধিত আর্মি রেগুলেশন্স (রুলস) ২৬২(৪) ও ২৬৯(এ), আর্মি রেগুলেশন্স (ইনস্ট্রাকশন্স) ১৬৮ (বি) এবং কমপেনডিয়াম অব মিলিটারি পেনশন-১৯৮১ এর বিধি-৯(কে) অনুসারে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হলো।
আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ওই অফিসারদের অবসর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এসএসএফের সাবেক মহাপরিচালকে বরখাস্ত / ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালককে বাধ্যতামূলক অবসরে
এ ছাড়াও আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এসএসএফ এর সাবেক মহাপরিচালক।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানের আগে সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার সময় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে তিনি আলোচনায় আসেন। পরে তিনি এসএসএফের মহাপরিচালক হন। গণভবনে থাকা অবস্থায় তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ-বিদেশ সফর করেন।
দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।