শেরপুরে বন্যার্তদের পাশে কক্সবাজারের হোপ ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

আসাদুজ্জামান মোরাদ : শেরপুর জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে খাদ্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিল্ডেন অব বাংলাদেশ'। হোপ ফাউন্ডেশন।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা শেরপুর এ আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গৃহপালিত জীবজন্তু ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর ঠিক সেই মুহূর্তেই কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান 'হোপ
ফাউন্ডেশন স্থানীয়ভাবে রান্না করা খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ পানি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বন্যার্তদের হাতে পৌঁছে দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে। হোপ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ রুহুল আমিন এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মোঃ রুহুল আমিন আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,  প্রতিদিন ৩৫০ জন বন্যা কবলিত মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন। অত্র এলাকার সন্তান হিসেবে আমি আমাদের মানবতার প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্থানীয় ৬নং পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)মোঃ ওয়াদুদ মিয়া এই জরুরি খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে হোপ ফাউন্ডেশন এতদুর শেরপুর জেলায় খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে এই জন্য তিনি হোপ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি, হোপ ফাউন্ডেশনের মত বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ও জরুরী ভিত্তিতে বন্যা কবলিত এলাকায় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান। হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমেরিকার 'Bangladesh Medical Association of North America' এবং 'Humanity Beyond Barriers' এই মানবিক কাজে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেছে তাই উক্ত প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি মানবিক কাজেও হোপ ফাউন্ডেশন সব সরকারের পাশে থাকবে। হোপ ফাউন্ডেশন ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ডাক্তার ইফতিখার উদ্দিন মাহমুদপ্রতিষ্ঠা করেন আর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ফাউন্ডেশনটি অসহায় দরিদ্র গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসময় ত্রাণ বিতরণ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি সদস্য ও স্থানীয় শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।