বন্যায় মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শেরপুরে পানি সম্পদ সচিব

প্রকাশিত: ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৪

ভবিষ্যতে বন্যায় মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ লাঘবে টেকসই ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান। তিনি শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মহারশি, ভোগাই, চেল্লাখালি ও সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছি মূলত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধগুলো দেখার জন্য। ভবিষ্যতে কি করা যায়, সে জন্য এখানে স্থানীয়দের মতামত শুনলাম। টেকনিশিয়ান ও কর্মকর্তাদের মতামত নিয়ে ভবিষ্যতে বন্যা থেকে বাঁচতে ও দুর্ভোগ লাঘবে কি করা যায় সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাধ পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনায়েত উল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) মো. দিদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফয়জুর রাজ্জাক আকন্দ, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলামসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সম্প্রতি শেরপুর জেলার ভয়াবহ বন্যায় জেলার চারটি পাহাড়ি নদী মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই, ও চেল্লাখালি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ৪টি নদীর ১ হাজার ১২০ মিটার বেড়িবাঁধ ও ১ হাজার ৫৪০ মিটার নদী তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কৃষি, মৎস্য ও রাস্তাঘাটসহ ঘরবাড়ি মিলিয়ে জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকার। এদিকে আকস্মিক এমন ভয়াবহ বন্যার জন্য এসব নদীর দুর্বল বাঁধকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তারা পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচতে ওইসব নদীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।