শেরপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ দাবিতে সাংবাদিকদের কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৪

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সময় টিভির শেরপুর জেলা স্টাফ রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হিরা ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীর উপর শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞার হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মবিরতি পালন করা হয়।

এছাড়াও সিভিল সার্জন বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে আগামী তিনদিনের মধ্যে সেলিম মিঞাকে অপসারণ না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আহসানুল হাবিব হিমেল।
কর্মবিরতিতে বক্তব্য রাখেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, বিপ্লব দে কেটু, ফিরোজ আহমেদ, ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া, দুদু মল্লিক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক জাহিদুল খান সৌরভ।


এসময় বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ডা. সেলিম মিঞা নেত্রকোনা জেলায় সিভিল সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জুলাই মাসে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদান করেন তিনি। এরপর সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তিনি সাংবাদিকদের সাথে যে আচরণ করেছেন তা ন্যাক্কারজনক। তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন সাংবাদিকরা। একইসাথে সারা দেশে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতের সকল ঘটনা দ্রুত তদন্ত করে অন্যায়কারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি করা হয়।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অপসারণ না করে স্টোর কিপার রফিক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুন্নবী সজলকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যা ‘ঝি মেরে বউকে শাসন’ করার মতো।
ওইসময় শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এসএ শাহরিয়ার মিল্টন, যুগ্ম-সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, দপ্তর সম্পাদক নাঈম ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মুকসিতুর রহমান হীরা, শহিদুল ইসলাম হিরা, সাংবাদিক শওকত জামান, ফজলুল করিম সুরুজ, মঞ্জুরুল আহসান, লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া, মো. সাইফুল ইসলাম, শাকিল মুরাদ, তারিকুল ইসলাম, বাবু চক্রবর্তী, রাজাদুল ইসলাম বাবুসহ জেলায় কর্মরত অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে জেলা হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে হাসপাতালে গেলে তথ্য না দিয়ে উল্টো শার্টের কলার ধরে টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরাকে লাঞ্ছিত করেন ও চিত্র সাংবাদিক বাবু চক্রবর্তীর কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।