দ্বিতীয় দিনের মতো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গেটে অভ্যুত্থানে আহতরা

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫

দ্বিতীয় দিনের মতো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। বেলা ১১টায় প্রায় ৩০ জনের মতো আন্দোলনকারী সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রধান ফটক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
আন্দোলনকারীরা বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করলেও ক্যাটাগরির মাধ্যমে জুলাই আহতদের মধ্যে বৈষম্য করা হচ্ছে। অনেক গুরুতর আহতকে শুধুমাত্র শনাক্তকরণের ভুল পদ্ধতির কারণে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে। এতে তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

গতকাল বুধবার থেকে অবস্থান প্রসঙ্গে তারা বলেন, যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূরণ হবে আমরা এখানে অবস্থান করবো। গতকাল রাতেও অরা খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেছি। সকালে অনেকে আশেপাশে গেছে। ফলে এখন মানুষের সংখ্যা কম। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জুলাই আহতরা রওনা হয়েছেন। দাবি আদায়ে তারাও দুপুর-বিকেল নাগাদ যোগ দেবেন।
রংপুর থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাকিব হোসেন মিরাজ বলেন, আমরা সবাই একই লক্ষ্যে আন্দোলনে গিয়েছিলাম। সেটি ছিল স্বৈরাচার সরকারের পতন। আমরা তো ক্যাটাগরি ভিত্তিতে আন্দোলনে যাইনি। এখন যারা একদম পঙ্গুত্ব বরণ করেছে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরি করে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা এবং এককালীন ৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। বি ক্যাটাগরিকে এককালীন ৩ লাখ ও মাসে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা সি ক্যাটাগরিতে আছি তাদের কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। আমার গায়ে এখনও ১১টি স্প্লিন্টার আছে অথচ আমাকে সি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সাথের অনেকের এখনও অপারেশন চলছে। অথচ সি ক্যাটাগরিতে থাকায় সে কোনো আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে না।
এদিকে আহতদের ব্যানারে আন্দোলনকারীদের অবস্থান ঘিরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা থেকে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ক্যাটাগরির বৈষম্য সংশোধন ও শহীদ পরিবারের অধিকার আদায়ে লংমার্চ টু প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আসেন তারা। এরপর থেকে কার্যালয়টির মূলগেটের সামনে অবস্থান করছেন তারা।