শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৫ জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং একই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি)’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। ৭ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপ হোসেন নামে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার এক ব্যবসায়ী নালিতাবাড়ী সিআর আমলী আদালতে ওই নালিশী মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর-ই-জাহিদ মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট জাহিদুল হক আধার। মামলার বিবাদীরা হলেন বকশীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান ইউএনও ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সাবেক ইউএনও মো. মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ী উপজেলার বর্তমান ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুন মাসে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে জব্দ হওয়া ২৫ হাজার ঘনফুট বালু আদালতের মাধ্যমে নিলামে কেনেন ব্যবসায়ী গোলাপ হোসেন। ওই বালু গোলাপ হোসেনকে বুঝিয়ে দিতে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন নালিতাবাড়ী উপজেলার তৎকালীন ইউএনও মাসুদ রানা। পরবর্তীতে মাসুদ রানা বদলি হয়ে জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলে যান। নালিতাবাড়ীর বর্তমান ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমানকে চাঁদার ওই টাকা না দিলে বালু বুঝিয়ে দিচ্ছেন না বলে মামলায় দাবি করেন ব্যবসায়ী গোলাপ। এ কারণে বাধ্য হয়ে নালিতাবাড়ীর সিআর আমলী আদালতে সোমবার বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানা, নালিতাবাড়ীর ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনিছুর রহমানকে বিবাদী করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন গোলাপ হোসেন। পরে ঘটনাটি তদন্তের জন্য শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জাহিদুল হক আধার বলেন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের মাধ্যমে বালু ক্রয় করা হয়েছিল। তবে ৯ মাস অতিবাহিত হলেও ইউএনও বালু বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। সাবেক ইউএনও এই বালু হস্তান্তরের জন্য ৬ লাখ টাকা চান। তিনি চলে গেলে বর্তমান ইউএনও এবং এসিল্যান্ড একই দাবি করেন। মামলা দায়েরের পর আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই। মামলার বাদী গোলাপ হোসেন বলেন, শুরুতেই আমার কাছে টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ৬ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি অপারগতা প্রকাশ করার পরেই আমাকে আদালতে পাঠিয়েছে। বলেছে, আপনার বালু আদালত থেকে নেন। আমি দেব না। আমি ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বর্তমান জামালপুরের বকশীগঞ্জের ইউএনও মাসুদ রানার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুইটি চিঠি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলে কল কেটে দেন। পরে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার চিঠিতে বালু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। আর নালিতাবাড়ীর বর্তমান ইউএনও ফারজানা আক্তার ববি বলেন, বিষয়টা আমার সময়কালের নয়। যখন নিলাম হয়েছে, ওইসময় ইজারাদারের সাত দিনের মধ্যে বালু নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, তিনি করেননি। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি অবগত নই। Related posts:নকলায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ৩৫জননকলা প্রেসক্লাব কমিটির আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতারশেরপুরে ‘মাহবুব ফ্যাশন’র ২১ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য র্যালি Post Views: ৫৬ SHARES শেরপুর বিষয়: