কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে পারলেন না শিক্ষা উপদেষ্টাও অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৫ শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের অনুরোধেও অনশন ভাঙলেন না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ২৩ এপ্রিল বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে অনশনস্থলে পৌঁছে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হন শিক্ষা উপদেষ্টা। এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে শোনেন এবং তাঁদের অনশন ভেঙে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। সেই অনুযায়ী জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি এ সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টার আশ্বাসে আশ্বস্ত না হয়ে কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। উপদেষ্টা অনশনরতদের কাছ থেকে চলে যাওয়ার সময় কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। তিনি এসময় বলেন, ‘আমি এসেছি শুধু ছাত্রদের অনশন ভাঙাতে, অন্য কারো সাথে এখন কোনো কথা নয়।’ পরে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন তিনি। উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত সোমবার থেকে কুয়েটের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেন ৩২ জন ছাত্র। তাঁদের মধ্যে ৬ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন ২৬ জন শিক্ষার্থী অনশনে আছেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েট ভিসি, প্রো ভিসি, ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কুয়েট সিন্ডিকেট। ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা জোর করে ক্যাম্পাসের প্রবেশ করে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন করেন। ১৫ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ ছাত্রকে বহিষ্কার ও ৪ মে ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু এবং ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ১৬ এপ্রিল তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। Related posts:দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মেসতর্ক করছি, নিজেদের মধ্যে হানাহানি করলে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধানজাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী হলেন আছাদুজ্জামান মিয়া Post Views: ৪৪ SHARES জাতীয় বিষয়: