ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় (৫০) কে ৫৪ ধারায় আটকের পর বিশেষ ক্ষমতা বা ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ প্রদান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

২৭ এপ্রিল রবিবার রাতে তাকে ওই আটকাদেশ প্রদান করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান। বিশ্বজিৎ স্থানীয় ঘোষগাঁও এলাকার অনন্ত কুমার রায় মাস্টারের ছেলে। আগস্ট পটপরিবর্তনের পর শেরপুরে এটাই প্রথম কোন রাজনৈতিক নেতাকে আটকাদেশ প্রদান করা হলো। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক জিয়াউর রহমান।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে স্ত্রীর পাসপোর্ট করার জন্য তাকে নিয়ে শেরপুর শহরের নবীনগর এলাকায় পাসপোর্ট অফিসে যান বিশ্বজিৎ রায়। ওইসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ঝিনাইগাতী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী এবং পরে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাকে আটক করে সন্ধ্যায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেইসাথে তাকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা তথা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে কারাগারে অন্তরীণ রাখতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করা হয়। পরে রাতেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তরফদার মাহমুদুর রহমান তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল-আমীন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলাসহ ৪টি জিডি রয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত কুমার রায় মাস্টার জানিয়েছেন, সে ঝিনাইগাতীর ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছে।