বিএনপির নাশকতার আশঙ্কায় ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটার কম ছিল: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে ৫০০ ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিএনপি। প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেককে হত্যা করেছিল। ভোটারকে হত্যা করেছিল। সুতরাং তারা যখন ঘোষণা দেয় নির্বাচন আন্দোলনের অংশ তখন মানুষ সেই হাঙ্গামার আশংকার করণে ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যায়নি।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা সৃষ্টি করেছিল। এবারো তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বলে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া তাদের আন্দোলনের অংশ। বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে মানুষ জানে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন ভাল হয়েছে। উপমহাদেশের মানদণ্ডে বিচার করলেও বলতে হবে এটি একটি ভাল নির্বাচন হয়েছে। আমরা অতীতে দেখেছি যখনই স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তখনই হাঙ্গামা হয়, কেন্দ্র দখল, সিল মারা হয়। এই নির্বাচনে কোন সিলমারা হয়নি। হাঙ্গামা হয়নি।

তিনি বলেন, ঢাকা সিটির নির্বাচনে উত্তর সিটিতে ২৫ শতাংশ, দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এমনই ভোট পড়ে। সেই হিসেবে বললে এই ভোটও একেবারে কম নয়।

বিএনপি এখন আজগুবি অভিযোগ তুলছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করছে, ইভিএম মেশিনে নাকি রাতভর ভোট দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগ থাকলে ভোট ২৫ শতাংশ হতো না, ৬০ ভাগই হতো। ইভিএম মেশিনে চুরি করা যায় না। ইভিএম নিজেই প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট এর মত কাজ করে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ যে সরকার, এটি আওয়ামী লীগের সরকার। সরকারের আওয়ামী লীগ নয়। যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হয়েছেন, মেয়র হয়েছেন, চেয়ারম্যান হয়েছেন, তারা দলের নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেবেন। দলকে গুরুত্ব দেবেন।

আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল, সে সময় দল অনেক শক্তিশালী ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকের মধ্যে আড়ষ্টতা এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেক অনুপ্রবেশকারী এসেছে, তারা যদি দলীয় পদে থাকে তাদের বাদ দিতে হবে।

প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান, ড. মেরিনা জাহান, সাংসদ এনামুল হক, সাংসদ আয়েন উদ্দীন, সাংসদ ডা. মনসুর রহমান ও সাংসদ আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ।