এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২০ >> আগামী সপ্তাহে আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা >> রোব অথবা সোমবার প্রস্তাব যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে >> ঈদের পর পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তাব করা হতে পারে >> সেশনজট মাথায় রেখে সময়সূচি সংশোধনের চিন্তা অনলাইন ডেস্ক : এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান সভা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোব অথবা সোমবার পরীক্ষা পেছানের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে বলে আন্তঃজেলা শিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। আন্তঃজেলা বোর্ড সূত্র জানায়, চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নিজ বাসায় অবস্থান করতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে এ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেন। জানা গেছে, ‘শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের সভায় পরীক্ষা পেছানের প্রস্তাব রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা বলা হয়। ইতোমধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক স্থগিত হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র চলমান বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে সব শিক্ষা বোর্ড। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজ শনিবারই বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক শনিবার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করাটা কঠিন বিষয় হয়ে পড়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সব শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বসে সভা করেছি। সেখানে পরীক্ষা পেছানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব আগামী দু-একদিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কতদিন পরীক্ষা পেছানো হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কতদিন এমন সংকট থাকবে সেটিও নিশ্চিত নয়। তাই স্থগিত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের জন্য এইচএসসি পরীক্ষা ১ এপ্রিল শুরু না করে এটি ঈদুল ফিতরের পর আয়োজন করার প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এরপর সুবিধামতো সময়ে এ পরীক্ষা আয়োজন করা যেতে পারে। তবে শিক্ষার্থীরা যাতে সেশনজটে না পড়ে, সেটি মাথায় রেখে এইচএসসি পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো ও কেন্দ্র প্রস্তুতসহ সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা শেষ করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে কয়েক লাখ কর্মকর্তা, শিক্ষক জড়িত। তার সঙ্গে সারাদেশে ১১ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় বসার কথা রয়েছে। পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে কর্মকর্তা-শিক্ষকদের সভা করতে সমবেত হতে হয়। এতে একে অপরের সংস্পর্শে এসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরীক্ষা স্থগিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হতে পারে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলোও। একাধিক অভিভাবক বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা স্কুল-কলেজের পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেটনির্ভর। সহপাঠীদের সঙ্গেও শেয়ারিং করে পড়াশোনা করে। সরকার শিক্ষার্থীদের বাসায় থাকতে বলেছে। এখন তারা কীভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও আতঙ্কে আছেন। সরকার সভা-সমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত সোমবার ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীন সব পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবের সভা ডাকা হলেও তা স্থগিত করা হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথমপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা আছে। Related posts:মৌসুমি বায়ু প্রবল থাকায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতমামলাজট কমাতে ডিসিদের সহযোগিতা চাইলেন আইনমন্ত্রীবায়তুল মোকাররমের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার Post Views: ২৭২ SHARES জাতীয় বিষয়: