শেরপুরে দুই হাজার কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দিল সাবেক সাংসদ শ্যামলী

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০২০

মাহবুবা রহমান শিমু ॥ আদরজান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুর সদর উপজেলার দুই হাজার কর্মহীন পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিল সাবেক সাংসদ, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সাপ্তাহিক শ্যামলী শেরপুর ও শ্যামলী নিউজ ২৪ডটকমের সম্পাদক প্রকাশক এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী।


করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সারা দেশের মত শেরপুরেও চলছে অঘোষিত লকডাউন। সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছে মানুষ। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালকসহ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এর ফলে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে তাদের। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাবেক সাংসদ এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী ।


মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে দুই হাজারের অধিক কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী, সচেতনতামূলক লিফলেট, সাবান, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার পৌঁছে দেন সাবেক সাংসদ এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী। পরে তিনি ৬নং পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী, সচেতনতামূলক লিফলেট, সাবান, মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন।


সাবেক সাংসদ এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রামণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন দুস্থ ও অসহায় মানুষ। হঠাৎ কর্মহীন হয়ে তারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এ সময়টাতে তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে সাধ্যমত এসব অসহায় মানুষগুলোর পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও তৈলসহ খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের সচেতনও করে যাচ্ছি।’ ওইসময় তিনি আরও বলেন পর্যায়ক্রমে শেরপুর সদর উপজেলার প্রতিটি দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে।
এদিকে শ্যামলী গ্রুপের পরিচালক ও সাপ্তাহিক শ্যামলী শেরপুর-শ্যামলী নিউজ ২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, আদরজান ফাউন্ডেশন ও সাবেক এমপি, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট ফাতেমাতুজ্জহুরা শ্যামলী আপার পক্ষ থেকে সদর উপজেলার দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।