নালিতাবাড়ীতে বিনা মূল্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২০ নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি : করোনা সংক্রমন ক্রান্তিকালে অনেকটা নিরবেই নালিতাবাড়ীর ১২টি ইউনিয়নের ১২টি ফার্মেসীতে দায়িত্ব দিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষ, দলীয় নেতাকর্মী ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগনকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও ঔষধ দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নালিতাবাড়ী উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি মনে করেন প্রচারে নয় মানুষের মাঝে কাজে বিশ্বাসী হতে হবে। এই অনুধাবনকে অগ্রগন্য হিসেবে মানুষের জন্য আগামীতে আরও সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করে যাবেন বলে জানান ফটোসেশনে না আসা এই নেতা। একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন, করোন সংক্রমন কান্তিকালে তিনি প্রতিটি ইউনিয়নের ১টি করে ফার্মেসীতে মালিকসহ নেতাকর্মীদের দায়িত্বে দিয়েছেন ঐ ইউনিয়নের রোগীকে এ সেবার আওতায় আনার জন্য। এছাড়া পৌরসভায় তিনি নিজেই দায়িত্বে নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে পৌরবাসীকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনছেন এবং এটি করতে পেরে তিনি নিজে মনে প্রানে আতœতৃপ্তি লাভ করেন। তিনি আরও বলেন, এই ঔষধ দেওয়া হবে ইউনিয়ন, ওর্য়াড, পৌরবাসি ও তালিকায় থাকা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাকর্মীবৃন্দ, দুস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগনের মাঝে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাকর্মীবৃন্দ, দুস্থ অসহায় দরিদ্র মানুষ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাগনসহ ইউনিয়ন, ওর্য়াড, পৌরবাসিসহ অনেকে মহামারী করোনায় ঘোষিত/অঘোষিত লকডাউনে থাকা মানুষগুলো যাদের আয়ের উৎস্য বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে এই শ্রেনীর সমাজে নের্তৃত্ব দেওয়া মানুষগুলো কারো কাছে হাত পাততে পারে না। এসময় জরুরী ও হালকা অসুসস্থ হয়ে পড়লে অনেক সময় টাকা নাও থাকতে পারে এবং ঔষধ কিনতে সে হিমশিম খেয়ে যায়। কিন্তু এসময় চিকিৎসা ও ঔষধ তার জরুরী প্রয়োজন। তাই এদের মনের কথা ও বাস্তব চিত্র উপলব্ধি করেই এই উদ্যোগ তিনি গ্রহন করেছেন। তিনি প্রচারের জন্য এ কাজে মনোনিবেশ করেননি। তার চিন্তা তৃনমূলের আওয়ামীলীগের ও জনগনের জন্য। যেহেতু বৃহৎ পরিসরে জনগনের দায়িত্ব নেওয়া তার জন্য অসাধ্য। তাই সাধ্যের ভিতরে নের্তৃবৃন্দরা জনগনের আওতায় আছে। তাদের মাধ্যমে আনুমানিক প্রায় ৬,৫০০ জন নেতাকর্মীর মধ্যে যারা অসহায় তাদেরসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাগন ও একেবারে অসহায় দুস্থ মাানুষদের মাঝে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ও ঔষধ সরবরাহ করে করোনা সংক্রমন মোকাবেলায় জননেত্রীর বিশাল কর্মযজ্ঞের সাথে সামিল হওয়ায় ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। অপরদিকে রোগীদের সুবিধার্থে ইউনিয়ন অনুযায়ী আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দ তাদের কাছের ব্যাক্তি দ্বারা ফার্মেসীগুলোতে রোগীর পূর্ন নাম ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করলে যাচাই পূর্বক দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং একই সাথে এসব রোগীদের নালিতাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তার দ্বারা দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ্এ ব্যাপারে যোগানিয়া কাপাসিয়ার বাসিন্দা নিতাই চন্দ্র বলেন, আমাদের মত লোকের জন্য এই নেতা যা করছেন তার তুলনা হয় না। তার জন্যই আমার ঔষধ ও চিকিৎসা নিতে পারছি। বাল্লাকান্দা বাজারের জনি মিয়া বলেন, আমি নিজে ফার্মেসী হতে কিছু ঔষধ নিয়েছি এবং অপরকেও বলেছি। কাকরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম হোসেন বলেন, করোনা নিয়ে এখন গ্রামের মানুষও আতংকিত। এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা দলীয় লোক ও গরীব মানুষের জন্য যে উদ্যোগ গ্রহন করেছে এটা খুবই ভাল কাজ। নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আক্তারুজ্জামান আক্তার বলেন, মহামারী করোনা মানুষকে ভয় আতংকিত করে ফেলেছে। এমন এসময় এসে গেছে যে, এটিকে রুখতে সারা পৃথিবী এক যোগে লক ডাউন ঘোষনা করবে। দুর্যোগময় এমন অবস্থায় উদ্যোগক্তার এই কাজটি প্রসংশনীয়। গরীব অসহায় মানুষ, দলীয় লোক ও মুক্তিযোদ্ধাগন কিছুটা হলেও এই সুবিধার আওতায় আসবে। নালিতাবাড়ী উপজেলার চিকিৎসা দেওয়ার কেন্দ্র ও ফার্মেসীগুলো নি¤েœ উল্লেখ করা হলঃ পোড়াগাও-ধুপাকুড়া বাজার, মামুন মেডিক্যাল হল, নন্নী-নন্নী বাজার অনিক মেডিক্যাল হল, রাজনগর-নলজোড় বাজার-মাইশা মেডিক্যাল হল, কলসপাড়-ডহরিয়াপাড়া বাজার-মান্নান ও মোকলেছ এর মোহাম্মদিয়া মেডিক্যাল হল, বাঘবেড়-চেল্লাখালি বাজার-আল মামুন মেডিক্যাল হল, যোগানিয়া-বাল্লাকান্দা বাজার-মর্জিনা মেডিক্যাল হল-মজিবর রহমান, মরিচপুরান-বাশঁকান্দা বাজার, কাউসার মেডিক্যাল হল, রুপনারায়নকুড়া-মির্জা বাজার-খান ফামের্সী ও মজনু মিয়া, কাকরকান্দি-শালমারা হাবিব এন্ড সাগর মেডিক্যাল হল, নয়াবিল-বনকুড়া বাজার-ফুয়াদ মেডিক্যাল হল, নালিতাবাড়ী-শাহজাহান, রাজ্জাক, মোক্তার, রামচন্দ্রকুড়া-বৈশাখী বাজার-মা মেডিক্যাল হল, মজিদ মিয়া, ও নালিতাবাড়ী পৌরসভায় তিনি নিজেই বিতরন করবেন বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য পরিবার সূত্রে তিনি জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের ১৯৭০, ১৯৮০ ও ১৯৯০-১৯৯১ সাল পর্যন্ত যখন আওয়ামীলীগ করাটা ছিল কঠিন কাজ । সেই সময়ে তাদের বাসা ভাড়া বিহীনভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়। সেই আওয়ামীলীগ পরিবারের একজন হয়ে আজকের এই কঠিন সময়ের মাঝে এসে আবারও মানব কল্যানে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা। কোন এক সময় নামটা হয়তো বেড়িয়ে আসবে একজন মানব সেবার সামান্য কর্মী হিসাবে। তারপরও মানুষের মাঝে মানবকল্যানে কাজ করতে পারার যে মনমানসিকতা সেটি যেন আরো বেশি করতে পারি এইটুকু প্রত্যাশায় আজকের এই প্রয়াস। সবার কাছে সবার জন্য দোয়া কামনা করছি। Related posts:কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপের ঘটনায় ৪ পুলিশ প্রত্যাহারজামালপুর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধনময়মনসিংহে মাদক বিরোধী সাইকেল র্যালী Post Views: ২৮৪ SHARES সারা বাংলা বিষয়: