শেরপুরে ব্রি হাইব্রিড-৩ ও ৫ ধানের নমুনা শস্য কর্তন

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে বোরো মৌসুমের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত হাইব্রিড জাতের ধান ব্রি হাইব্রিড ধান-৩ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ এর নমুনা শস্যকর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ মে বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামে অনুষ্ঠিত এ শস্যকর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে। এতে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি), গাজীপুর-এর সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুর সদর উপজেলা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বোরো মৌসুমে বিএডিসির জনপ্রিয় জাত এসএল-৮ ধানের সাথে তুলনামুলক উৎপাদন পর্যালোচনার জন্য কৃষক শাহজাহান মিয়ার ৫০ শতক জমিতে আবাদ করা হয় ব্রি হাইব্রিড ধান-৩ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৫। শস্যকর্তন করে দেখা যায়, শুকনা অবস্থায় ব্রি হাইব্রিড ধান-৩ ফলন হয়েছে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৮ মে.টন, ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ হেক্টর প্রতি ৯ মে.টন এবং এসএল-৮ হেক্টর প্রতি ৮ মে.টন।
শস্য কর্তন অনুিষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপপরিচালক ড. মোহিত কুমার দে বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ব্রি’র সহযোগিতায় শেরপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি হাইব্রিড ধান-৩ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৫ আবাদ করা হয়েছে। এই ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এতে রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়নি। সাধারণ ধানের তুলনায় এ ধানের চিটাও অনেক কম। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে জেলার কৃষকেরা বেশি বেশি করে এ ধান আবাদ করবেন।
কৃষক মো. শাহজাহান বলেন, ব্রি হাইব্রিড-৩ ও ৫ জাত দু’টিতে পোকামাকড়ের তেমান আক্রমণ হয়নি। ধানের গোছা এবং ছড়া বেশ শক্ত। সহজে ধানগাছ হেলে পড়ে না। ধানের দানাগুলোও বেশ পুষ্ট। সহজে ধান ছড়া থেকে ঝরে পড়ে না। ফলনও বেশ ভালো। অনেক কৃষক তার ক্ষেত দেখে সামনের দিনে আবাদ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি জানান।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা বলেন, প্রতিনিয়ত উন্নত জাতের ধান কৃষকরা যাতে আবাদ করে অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারে এজন্য ব্রি নতুন নুতন ধানের জাত উদ্ভাবন করে চলেছে। বোরো মৌসুমে অন্যান্য হাইব্রীড জাতের তুলনায় ব্রি উদ্ভাবিত জাত দুটি ব্রি হাইব্রিড-৩ ও ব্রি হাইব্রিড-৫ যে বেশ ভালো সেটা এ শস্যকর্তনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সামনের দিনে এ দু’টি জাত কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাবে বলে আশা করছি।
শস্যকর্তন অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুরাইয়া সুলতানা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম, কৃষক মো. শাহজাহানসহ স্থানীয় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।