ঝিনাইগাতীতে সেই নাজিম উদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেন জেলা প্রশাসক অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:১০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২০ হারুন অর রশিদ দুদু ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রদানকৃত “বিশেষ উপহার” পাকা বাসগৃহ ও দোকান ঘরের চাবি ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৬ আগষ্ট রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব ওই চাবি হস্তান্তর করেন। সেই সাথে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক। ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএমএ ওয়ারেজ নাইম, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোঃ মিজানুর রহমান, ঝিনাইগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবুসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন তার ঘর তৈরির জন্য ভিক্ষা বিত্তির সঞ্চয়কৃত ১০ হাজার টাকা গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ কর্তৃক সরকারি করোনা তহবিলে দান করেন। ওই গ্রামের মৃত ইয়ার উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিনের দানের এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচর হয়। ভিক্ষুকের এই মানবিকতা দেখে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক নির্দেশ মোতাবেক শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনকে একটি পাকা বাসগৃহ, ও দোকান ঘরসহ অন্যান্য সরকারী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণা অনুযায়ী গান্ধীগাঁও গ্রামে পাঁচ শতাংশ জমির উপর তৈরি করা হয় নাজিম উদ্দিনের জন্য এক বিশাল পাকা বাসগৃহ। পুরো বাসগৃহটি ইট দিয়ে গেঁথে তোলা হয়েছে। সেখানে থাকছে দু’টি কক্ষ। বাড়ির ওপরে রঙিন টিনের ছাউনি। দু’পাশে লোহার গ্রিল দিয়ে বারান্দা করা হয়েছে। রয়েছে বেশ বড় রান্নাঘর, তারপাশে গোসলখানা ও শৌচাগার। সব মিলিয়ে একটি মনোরম পরিবেশের বসতবাড়ি বৃদ্ধ নাজিম উদ্দিনের জন্য উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরদিকে গান্ধিগাঁও বাজারে পাকা একটি দোকান ঘর ও দোকানের মালামাল দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থেই মানবতার মা। তিনি প্রত্যন্ত পল্লীর একজন ভিক্ষুকের দান গ্রহণ করে তাকে ও দেশকে সম্মানিত করেছেন। ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন ঘর তৈরি করার জন্য অনেক কষ্টে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। সেই টাকা তিনি করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের জন্য সরকারি তহবিলে দান করেন। এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অর্থে ওই পাকা বাড়ী ও দোকান ঘরের নির্মাণের কাজ শেষ করেছি। আজ ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হলো। এদিকে পাকা বাড়ী পেয়ে ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন জানান, ৮০ বছর বয়সে সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাকা বাড়ী করে দিয়েছেন। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি পাকা বাড়ীতে থাকবো। আমি যতদিন বেঁচে আছি নামাজ পড়ে দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে আল্লাহ যেন দীর্ঘজীবী করেন ও সুস্থ রাখেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা সাংবাদিকদের জানান। ঘরের চাবি হস্তান্তর শেষে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে এক দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। Related posts:বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলবে শেরপুরের আতিকনালিতাবাড়ীতে ঠিকাদার শহিদুল কর্তৃক কর্মহীনদের মাঝে সাবান মাস্ক ও নগদ অর্থ বিতরণনালিতাবাড়ীতে শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Post Views: ৪৮৩ SHARES শেরপুর বিষয়: