শেরপুরে শয়নকক্ষে বৃদ্ধা খুন ॥ এক বছর পর রহস্য উদঘাটন পিবিআই’র, ২ আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুর এক বছর পর শয়নকক্ষে বৃদ্ধা ফরিদা বেগম খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। ২৯ আগস্ট শনিবার বিকেলে পিবিাআই’র হাতে গ্রেফতারকৃত ২ আসামি ওই হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হলো শহরের গৌরীপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাসকারী সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ওরফে ঠোঁটকাটা জাহাঙ্গীর (২৬) এবং শহরের গৌরীপুর এলাকার যোগেন বিশ^াসের ছেলে লিটন বিশ^াস (২৫)। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুর শহরের একটি গোপন আস্তানা থেকে জাহাঙ্গীর ওরফে ঠোঁটকাটা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লিটন বিশ^াসকে শহরের গৌরীপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই জামালপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক হারুন অর-রশিদ জানান, ৪ মাদকাসক্ত মিলে নেশার টাকা জোগাড় করতে ওই বৃদ্ধার শয়নকক্ষে ঢুকলে তাদের চিনে ফেলায় গলাকেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমন স্বীকারেক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়ে আদালতে বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ঠোঁটকাটা জাহাঙ্গীর ও লিটন বিশ^াস। শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মহসীনা বেগম তুষি তাদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ আগস্ট রাতে শহরের পশ্চিম গৌরীপুর মহল্লায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে বৃদ্ধা ফরিদা বেগমের (৬০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পরদিন নিহতের ছেলে খন্দকার শামীম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআই জামালপুর আঞ্চলিক কার্যালয়কে তদন্তভার দেওয়া হয়।