এমসি কলেজে ধর্ষণের আসামি সাইফুর ও অর্জুন রিমান্ডে অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামি সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক সপ্তাহ করে রিমান্ড আবেদন জানান। শুনানি শেষে সিলেট মহানগর দ্বিতীয় হাকিম সাইফুর রহমান পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শুক্রবারের ওই বর্বরোচিত ঘটনার পর ক্ষোভ, নিন্দা আর ধিক্কারে সরব হয়ে উঠেছে বিভিন্ন সংগঠন। অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের দাবি সবার। বন্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কর্মীদের থাকতে দেওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন, ১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় এক কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি হলো। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এজাহারে ছয় আসামির নাম রয়েছে, তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি। নাম থাকা আসামিদের ছয়জনই ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। ৯ আসামির মধ্যে সাইফুর ও অর্জুনসহ এ পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি চারজন। গ্রেপ্তার অপর তিনজন হলেন- রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি ও রাজন। এদের মধ্যে রাজনকে মামলার অজ্ঞাত পরিচয় তিন আসামির একজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে রোববার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে এবং অর্জুন লস্করকে ভোরে হবিগঞ্জর মাধবপুরের মনতোলা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা পুলিশ। এরপর রোববার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের এনায়েতগঞ্জ থেকে রবিউল, শায়েস্তাগঞ্জ থেকে রনি এবং সিলেটের ফেঞ্জুগঞ্জ উপজেলার কচুয়া নয়াটিলা এলাকা থেকে রাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। Related posts:বিশ্ব নেতারা অযাচিতভাবে ইউনূসের বিচারে হস্তক্ষেপ করছেনধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে সংশোধিত আইন যাচ্ছে মন্ত্রিসভায়অপহরণ ও চাঁদা দাবি: ৫ জনের ২১ বছরের কারাদণ্ড Post Views: ৩৮৮ SHARES আইন-আদালত বিষয়: