শেরপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২০

আছাদুজ্জামান মোরাদ ॥ সারাদেশে আগামী ৪-১৪ অক্টোবর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর জেলা সদর সদরসহ পাঁচ উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় ও ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা সিভিল সার্জন অফিস আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ আনওয়ারুর রউফ এর সভাপতিত্বে ও ডাঃ মোঃ আক্রাম হোসেন এমওসিএস’র উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কাশেম মোঃ আনওয়ারুর রউফ। ওইসময় তিনি বলেন, বিগত বছর গুলোতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হলেও এবছর বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মহামারীর জন্য পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাথে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টি জনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষে একযোগে সারাদেশের সাথে শেরপুর জেলায় ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রত্যেক দিন ব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন ‘এ’ মানুষের শরীরে খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন ‘এ’ এছাড়াও প্রতিটি মানুষের শরীরে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ থেকে পাওয়া যায়। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গর্ভবতী মায়েদের খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ‘এ’। ভিটামিন ‘এ’ অভাবে অনেক শিশু রাতকানা রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এবছর শেরপুর জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ২২ হাজার ৮২৪ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭১২ শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শেরপুর জেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠ ও সফলভাবে করতে ১৩৪৬টি কেন্দ্র করা হয়েছে এবং এতে ২৬৯২ জন স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পেইনে কাজ করবে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্য সহকারি থাকবে ১৭৪ জন এবং এফডব্লিউএ ২১১ জন মোট ৩৮৫ জন সরকারি কর্মচারী কাজ করবে।
মতবিনিময় সভায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম আজফার বাবুল ও সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সহ-সভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জিএইচ হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিম বাবুল, সঞ্জিব চন্দ বিল্টু প্রমুখ।