বর-কনের বাবাকে জরিমানা ॥ কাজী ৬ মাসের জেল

প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২০

জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হানায় পন্ড হয়েছে বাল্য বিয়ে। এ সময় বাল্য বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করার অপরাধে কাজী রফিকুল ইসলামকে ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় বর ও কনের বাবাকে ১৫শ করে টাকা জরিমানা ছাড়াও ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বর ও কনের অভিভাবকদের।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন মুন জাহান লিজা ওই দন্ডাদেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মাষ্টারবাড়ী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। কাজী রফিকুল ইসলাম মাষ্টারবাড়ী এলাকায় মরহুম ইন্তাজ আলীর ছেলে।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেষেরচর গ্রামের রাজু আহাম্মেদের ছেলে রাসেল মিয়া ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ইতি বেগমের বিবাহের আয়োজন করে কাজীর বাড়ী পৌর শহরের মাষ্টার বাড়ীতে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিয়ে বাড়ীতে হানা দিয়ে বাল্য বিয়ে পন্ড করে দেন। এ সময়ে বিয়ের পড়ানোর সময় কাজী রফিকুল ইসলামকে আটক করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুন মুন জাহান লিজার দাবি, বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। মুজিব শতবর্ষে আমরা একসাথে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করার লক্ষে যেখানেই বাল্যবিবাহ সেখানেই প্রতিরোধ করা হয়। আর কোন মেয়ে শিশুকে যেন বাল্যবিবাহের কালো থাবা গ্রাস করতে না পারে সেজন্য সবাই মিলে এক হয়ে কাজ করার আহবানও জানান তিনি।