ভোট বাণিজ্য ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে আ’লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের প্রতিবাদ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভোট বাণিজ্য ও লিখিতভাবে ভোট প্রত্যাখান করার পরেও জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারের তৃণমূল ভোটের ফলাফল নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সমাবেশ এবং নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে পৌরশহরের নতুন বাস টার্মিনালে আয়োজিত ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর রুমান। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছানুয়ার হোসেন ছানু প্রধান বক্তা এবং দলীয়ন মনোনয়নপ্রত্যাশী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার প্রিয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
জনসভায় প্রধান অতিথি রুমান তার বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিকের সীমাহীন দুর্নীতি ও গোল্ডেন মনিরের কানেশনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে পৌর নির্বাচনে তৃণমূল ভোটের নামে বাণিজ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সার্বিক বিবেচনায় এখনও এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধারই কেন্দ্রীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া নির্বাচনে আধারের পক্ষে অবস্থান ও কাজ করার উদাত্ত আহবান জানালে উপস্থিত হাজার হাজার দলীয় নেতা-কর্মীসহ জনতা দুহাত তুলে সাড়া দেন। প্রধান বক্তা ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, এডভোকেট আধারকে সমর্থন দেওয়ার পর তিনি নির্বাচনের মাঠে নামার পরপরই তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে মনোনয়নবঞ্চিত করতেই তৃণমূলের ভোটের নামে ওই নাটক করা হয়েছে। এজন্য তিনি নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ করে বিজয়ের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার আহবান জানান। প্রিয় বক্তা রফিকুল ইসলাম আধার বলেন, রাজনীতিতে নবীন হওয়ার পরও কেবল পছন্দের লোককে জেতাতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তৃণমূলের নামে ভোট বাণিজ্যের উৎসব করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে শহরের বৃহৎ উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের লোকজনসহ হুইপ আতিকের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার নেতা-কর্মীসহ বৃহৎ জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই তার আগামীর পথ চলা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও শামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইফতেখার হোসেন কাফী জুবেরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুরুজ, পৌর প্যানেল মেয়র তৌহিদুর রহমান বিদ্যুৎ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বায়েযীদ হাছান, শহর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান আলাল, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব নুর মামুদ, সুলতান মাহমুদ সুজন, যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন, ইব্রাহিম খলিল মেহেদী, কামাল হোসেন, ওয়াসিম আক্রাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলম ইয়াকুব, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিদুর রহমান শাহিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন।
বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্থায়ী ওই সমাবেশে প্রায় ৫ সহস্রাধিক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মেয়রপ্রার্থী আধারের সমর্থকগণ সমাবেশে অংশ নেন।