শেরপুরে পৌর নির্বাচনে কেন্দ্র স্থাপনে বাধা-কর্মীদের হুমকির প্রতিবাদে আরও এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১:০০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১ স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্র স্থাপনে বাধা ও কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ও এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চামচ মার্কা প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী আরিফ রেজা। ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় শহরের ঢাকলহাটি এলাকায় তার নির্বাচনী কেন্দ্রে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ রেজা বলেন, আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে দীর্ঘদিন পৌর শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ঘরে ঘরে গণসংযোগ, পথসভাসহ নানামুখি কর্মসূচির মাধ্যমে পৌরবাসীর ব্যাপক আস্থা ও সমর্থন অর্জনের পরও মনোনয়নবঞ্চিত হই। আমি আমার বৃহৎ উত্তর ও পূর্বাঞ্চলসহ খোদ শহরের হাজার হাজার মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার দিকে তাকিয়ে এবং তাদের দাবির প্রতি সম্মান জানাতে চাপের মুখে দলের কাছে নতি স্বীকার না করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে চামচ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে অবতীর্ণ হই। এরপর থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রতি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে নব্য সমর্থক নেতাদের নানা রকম অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। দীর্ঘদিনের আমি একজন মেহনীতি শ্রমিকদের নেতা হয়েও আজ জীবনের একটি কঠিন পরিস্থিতিতে বা অগ্নিপরীক্ষায় আপনারদের স্মরণ করে বলতে চাই মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সাথে মাঠ পর্যায়ের দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্কহীনতা এবং অবহেলিত এলাকা ও মানুষের উন্নয়নে উদাসীনতা ও আন্তরিকতার অভাবে এবারের নির্বাচনে নৌকার অবস্থান আচ করতে পেরে তারা আমার মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং মিথ্যা মামলার তথ্য তুলে ধরে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করে। পরে সেটা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে আপিল করে আমার মনোনয়নপত্র বৈধতা পাই। এখানেও তারা ব্যর্থ হয়ে এখন শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে পশ্চিম অঞ্চল, পূর্বাঞ্চলে জামায়াত নেতাদের সাথে নিয়ে কেন্দ্র স্থাপনে বাধা এবং স্থানীয় কর্মীদের নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিশেষ করে আমার প্রাণ প্রিয় সংগঠন শেরপুর জেলা ট্রাক মিনিট্রাক ড্রামট্রাক ট্যাংকলড়ী ও কভার্ডভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ও জেলা বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা ও নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও পৌর শহরসহ বিভিন্ন মহল্লায় আমার পোস্টার ছেড়াসহ বিভিন্ন কেন্দ্র ভাংচুর করে যাচ্ছে নৌকা প্রতীকের সন্ত্রাসীরা। এতে করে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনে টিকে থাকতে পারবো কিনা ও আমার কোন কেন্দ্রে এজন্টে খোজে পাওয়া যাবে না আমার পক্ষে যারা কাজ করবে তাদেরকে গ্রেফতারসহ নানা হয়রানি করা হবে বলে ভয়-ভীতির পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গত (৩১ জানুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমাকেসহ দলের আরেক জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সরাসরি বহিস্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রীক, অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত। কারন জেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতাকেই সরাসরি বহিস্কারের এখতিয়ার জেলা আওয়ামী লীগের নেই। এটি পারে একমাত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সকল গুজব আর ষড়যন্ত্রের মূলে রয়েছে আমি নির্বাচনে থাকা নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবির ভয়। কারনেই শহরের বিভিন্ন মহল্লায় আমার চামচ প্রতীকের কেন্দ্র ভাংচুর, পোস্টার ছেড়াসহ আমার নেতা কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনি অবস্থায় আপনাদের সজাগ দৃষ্টির পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠ ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে জনগণের প্রকৃত আশা-আঙ্খার প্রতি ফলন ঘটাতে নিম্নোক্ত দাবি পেস করছি : ১.নির্বাচনী পরিবেশ প্রভাবমুক্ত রাখতে জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ ও শেরপুর-১ (সদর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আতিউর রহমান আতিককে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরপুরের বাহিরে অবস্থানের দাবি জানাচ্ছি। সেইসাথে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ রয়েছে- এমন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের পৌরসভার নির্বাচনী এলাকা থেকে বাহিরে অবস্থানের দাবি জানাচ্ছি। ২.আমার এবং আমার কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তায় নির্বাচন কমিশনসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ৩.বিভিন্ন এলাকায় আমার নির্বাচনী কেন্দ্র এবং মাইক প্রচার কাজসহ গণসংযোগ নির্বিঘ্ন করতে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং তার সমর্থকদের প্রতিহিংসা পরায়ণ ও আগ্রাসী মনোভাব থামাতে প্রশাসনসহ সকল মহলের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার দাবি করছি। ৪.নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সরকারি গাড়ি (পৌর মেয়রের অফিসিয়াল গাড়ি) ব্যবহার বন্ধ এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি নির্বাচনী কাজে ব্যবহার বন্ধে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, শেরপুর পৌরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে তার সমর্থকদের উক্তরূপ আচরণে/কর্মকাণ্ডে/সন্ত্রাসী হামলায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় এবং আমারসহ কর্মীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সার্বিক পরিস্থিতি জাতির বিবেক হিসেবে আপনারা নিজেদের লেখনির মাধ্যমে স্ব-স্ব গণমাধ্যমে তুলে ধরবেন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুন্দর পরিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াবেনÑ এমনটাই প্রত্যাশা আমার। সংবাদ সম্মেলনে আরিফ রেজার সমর্থক ও শ্রমিক নেতা ফখরুল হাসান, সোহাগ আলম জয়, আব্দুল হান্নান, জাহিদুল ইসলাম জামান, হুমায়ুন আহমেদ, আরিফ হাসান মবিন, মন্ডল মিয়া, আব্দুস সাত্তারসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। Related posts:ঝিনাইগাতীতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতনকলায় চেয়ারম্যান পদে সোহাগ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে কনক ও লাকী নির্বাচিতঝিনাইগাতীতে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত Post Views: ২৮০ SHARES শেরপুর বিষয়: