শেরপুরে করোনা ভীতি উপেক্ষা করে ঈদ শপিংয়ে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ১:০৬ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজানের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। শেরপুরে এরই মধ্যে রমজান ও ঈদের শপিং করতে মানুষের ঢল নেমেছে শহরের দোকানগুলোতে। ভিড়ের মধ্যে দোকানে দোকানে ঘুরে শপিং করছেন ক্রেতারা। তবে তাদের দেখে কারও মনে হবে না, বর্তমান সময়টি করোনা মহামারির। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ও সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব এখানে একেবারেই উপেক্ষিত।
জানা গেছে, দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় আঘাত করেছে চলতি বছর। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক মৃত্যু হচ্ছে। গত বছর করোনার প্রথম আঘাতেও এত মৃত্যু দেখেনি মানুষ। এবার একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর রেকর্ডও হয়েছে। এপ্রিলে টানা ৪ দিন দৈনিক শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে। সংক্রমণও ছিল রেকর্ড সংখ্যক। সবর্শেষ শনিবারও ৬০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে, কঠোর লকডাউন চলাকালীন ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়া হয় গত ২৫ এপ্রিল থেকে। সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল কিংবা দোকানপাটে যাতায়াত করতে হবে। কিন্তু কিছুই মানছেন না বিক্রেতা ও ক্রেতারা।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শহরের সব শপিংমল, মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ক্রেতাদের মার্কেট ও বিপণিবিতানে ভিড় করতে দেখা যাচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজনের জন্য পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে প্রখর রোদ ও করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে শহরের মার্কেটগুলোতে। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই।
শুধু মার্কেটই নয়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকসায় যানজট লেগে যাচ্ছে প্রতিটি সড়ক। বিশেষ করে নয়আনী বাজার, নিউমার্কেট, খরমপুর, কাকলি মার্কেট এলাকাগুলো মানুষের প্রচণ্ড ভিড়।
ঈদের শপিং করতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। রয়েছে ছোট্ট শিশু-কিশোররাও। এতে ওইসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি। কারণ করোনার কারণে এতদিন বিক্রি কম হলেও এখন বেড়েছে। ধম ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা। দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের এমন উপস্থিতি এবারের ঈদে রেকর্ডসংখ্যক বিক্রি হবে বলে আশা করছেন এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
নয়আনী বাজার শাড়ি-কাপড় ব্যবসায়ী বাবুল কুমার দাস বলেন, দীর্ঘদিন ব্যবসার মন্দা থাকার পর ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। আশা করছি, আগের পুরনো অবস্থা কেটে যাবে। গতবার রোজার ঈদের আগে দোকান খুলে দিলেও এত বিক্রি হয়নি। কিন্তু এবার ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশ ভালো। আশা করছি, ঈদের আগে বিক্রি আরও জমজমাট হবে।