শেরপুরে যথাযথ মর্যাদায় ঝাউগড়া গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরে যথাযথ মর্যাদায় ঝাউগড়া গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১০ মে সোমবার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নবনির্মিত শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুকতাদিরুল আহমেদ। ওইসময় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর সম্মান নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে ঝাউগড়া গণহত্যায় শহিদ চৌথমল কারুয়ার পুত্র শিব শংকর কারুয়া, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সাদিক আল সাফিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে জেলা প্রশাসন জেলাব্যাপী গণকবর এবং গণহত্যার স্থানগুলোতে স্মৃতিফলক নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের যথাযথ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন শেরপুর থানা শহরের নয়আনী বাজারের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ী চৌথমল কারুয়া, নিবারণ চন্দ্র সাহা, গোপেশ্বর সাহা, নিহার বসাক ভারতে না গিয়ে আত্মরক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয় নেন। এদিকে যুদ্ধকালীন সময়ে ১০ মে পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ফজলুর রহমান ওরফে ফজু মুন্সীসহ অপরাপর দোসররা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে ঝাউগড়া গ্রামে আশ্রয়ের থাকা ওই হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেন। তাদের সাথে ঝাউগড়া গ্রামের বাসিন্দা ভক্ত রাম বিশ্বাস, চিত্ত বিশ্বাস, নেপাল বিশ্বাস কেউ পাকহানাদার বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে শারীরিক নির্যাতন ও পরে মৃগী নদে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ওই নৃশংস গণহত্যার দীর্ঘ ৫০ বছর পর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে।