ঘোষণা সত্ত্বেও দাম কমেনি ভোজ্যতেলের অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন। নতুন এ দর গত বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করার কথা থাকলেও তা হয়নি। শুক্রবারও আগের বাড়তি দামেই তেল কিনেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা দাবি করছেন, কোম্পানিগুলো বাড়তি দামে বাজারে তেল দিয়েছে। এই তেল কম দামে বিক্রি সম্ভব হবে না। নতুন দামের তেল এলে তখন কম দামে বিক্রি করা হবে। ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় আর কমতে দীর্ঘ সময় লাগে। তবে বিক্রেতারা দাবি করেন, বোতলজাত ভোজ্যতেলের গায়ে নির্ধারিত মূল্য থাকে। যখন দাম বাড়ে বা কমে, তখন বোতলের গায়ে নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়। তবে খোলা তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। আবার দাম কমলে তখন নতুন দরের তেল বাজারে না আসা পর্যন্ত বাড়তি দামই থাকে। শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে অন্য ছুটির দিনের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় অনেক কম ছিল। মাছ-মাংস ও সবজির দোকানে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। বাজারে মাস্ক ছাড়াও ক্রেতা ও বিক্রেতারা এসেছেন। বর্তমানে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। উন্মুক্ত স্থানে বাজার স্থানান্তর না করায় কিছু স্থানে ক্রেতাদের জটলা ছিল। আবার অনেক জায়গায় ফাঁকা দেখা গেছে। রাজধানীর বাজারে ভোজ্যতেলের বাড়তি দামের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এ ছাড়া মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বাড়ার পর আর কমেনি। ভোজ্যতেলের নতুন দর অনুযায়ী এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। এ ছাড়া পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৭১২ টাকা ও খোলা পাম সুপার এক লিটার ১০৮ টাকায় বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত ৩০ জুন সংগঠনটি ঘোষণা দিয়েছিল, পরদিন থেকেই কম দামে তেল বিক্রি হবে। তবে শুক্রবার রাজধানীর বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল এক লিটার ১৫৩ টাকায় বিক্রি হয়। খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হয় ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। আর পাম সুপারের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। এই দরে গত সপ্তাহেও ভোজ্যতেল বিক্রি হয়েছে বলে জানান দোকানিরা। মিরপুর-১নং বাজারের দোকানি ফারুক হোসেন বলেন, তেলের দাম কমানোর বিষয়টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে নতুন দরের তেল আরও পরে আসবে। আগের বাড়তি দামের তেল শেষ হলে নতুন দামে তেল বিক্রি শুরু হবে। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় নতুন করে নিত্যপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। প্রতি কেজি আমদানি আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা। টমেটো ও গাজরের দাম প্রায় একই হারে বেড়ে মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঝিঙা, ঢেঁড়স ও পটোলের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি যাচ্ছে। মহাখালী কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান বলেন, লকডাউন হলেও পণ্যবাহী সব গাড়ি আসছে। বাজারে পর্যাপ্ত সবজি রয়েছে। এ কারণে দাম তেমন হেরফের হয়নি। তবে চাহিদা তেমন না থাকায় সরবরাহও কম। অতিবৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ আরও কমে যাবে। ফলে চাহিদা বাড়লে দাম বেড়ে যেতে পারে। এখন বেশি চাহিদার পণ্য ব্রয়লার মুরগি ও ডিম। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ডিমের ডজন এখন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। Related posts:সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্য ও বীমাসেবা দিতে মিলভিক ও বিকাশের চুক্তিএই মুহূর্তে বাড়াচ্ছি না রেমিট্যান্সে প্রণোদনা : অর্থমন্ত্রীরেমিট্যান্স পাঠানো যায় না প্রবাসীদের ব্যাংকে! Post Views: ২১৬ SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: