৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরে: বাণিজ্যমন্ত্রী অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর ৫১ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য খাতে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন এবং সেবা খাতে ৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোতে বিশেষ নীতি সহায়তা, রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ বিবেচনায় নিয়ে এই লক্ষ্যমাত্র ঠিক করা হয়েছে। চলমান মহামারির মধ্যেও রপ্তানিমুখী খাতগুলো যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে তাদের এই লক্ষ্যমাত্রা খুবই বাস্তবসম্মত এবং অর্জন করার মতো। টিপু মুনশি বলেন, দেশের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হবে এবং ৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সেবা খাতে রপ্তানি হবে। এবার ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের দেশের রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রপ্তানি খাত সচল রয়েছে এবং রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে আমাদের রপ্তানি খাতকে প্রণোদনা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়ানো এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ এসেছে। রপ্তানি বাড়ানোর জন্য রপ্তানিকারক এবং রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনো কঠিন কাজ হবে না। বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান ব্যবসা বান্ধব সরকার দেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রপ্তানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতগুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আশা করা যায়, এ খাতগুলোর রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। দেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং এই লক্ষে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। Related posts:মাছ উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম বাংলাদেশ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস আজ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এল ২২৫ কোটি ডলার Post Views: ৩০৯ SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: