নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরেপুরের নকলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণির (১৫ বছর) এক শিক্ষার্থী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ের চেষ্টায় বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ইউএনও জাহিদুর রহমান।
২৫ জুলাই রবিবার রাত ১১টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ ও তাদের জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে নকলা ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের মো. আব্দুল হাইয়ের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ও পার্শবর্তী উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. ছাহের আলীর ছেলে মো. খলিলুর রহমানের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান কনের বাবা মো. আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তবে ইউএনও বিয়ে বাড়িতে পৌঁছার আগেই বরযাত্রীদের খাওয়ানোসহ বিয়ের বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এমতাবস্থায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার জরিমানা করার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেয়া হয়।
নকলা থানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও সদস্য, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেছেন বলে ইউএনও জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন।
এসময় এলাকার কোনো ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগে যেন বিয়ে না দেয়া হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্য ও উপস্থিতিদের মৌখিক অঙ্গীকার করান ইউএনও জাহিদুর রহমান।