আলোচিত মডেল পিয়াসা-মৌ’র প্রধান সমন্বয়ক মিশু-জিসান রিমান্ডে অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১ অনলাইন ডেস্ক : আলোচিত মডেল মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে মিশুর পৃথক তিন মামলায় ৯ দিন ও জিসানের পৃথক দুই মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি, অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় মিশুকে দশ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি মামলায় একদিন , অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিন ও মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে ভাটারা থানার পর্নোগ্রাফি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় দশ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় একদিন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার রাতে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানে বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। রাজধানীর ভাটারা থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলাগুলো করে। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী। থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে (৪ আগস্ট) র্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে- অস্ত্র, মাদক, জাল নোট ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান বলেন, ‘র্যাব বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালত পাঠানো হয়েছে এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’ এদিকে, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।’ সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামিদামি ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল সব গাড়ি। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, মাদক, ভারতীয় জাল রুপি, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করে থাকেন। পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।’ Related posts:শেরপুরে সরকারি নির্দেশনা না মানায় ২ প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাবড় ঋণখেলাপিরা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে : হাইকোর্টমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক এমপি মোমিন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড Post Views: ১৬২ SHARES আইন-আদালত বিষয়: