২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘাতকচক্র গণতন্ত্র রুখে দিতে চেয়েছিল: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২১

অনলাইন ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ঘাতকরা দলটিকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রুখে দিতে এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।
দেশের ইতিহাসে নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পূর্তির আগের দিন শুক্রবার এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বর্বরোচিত ওই গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। এসময় তিনি সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল মহান স্বাধীনতা। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ এর ৬ দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এ দিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জনসভা চলাকালে ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে আজও দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।