অবশেষ মাখন ফুটপাতেই চলে গেলো! অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২১ ‘কারও পৌষ মাস আবার কারও সর্বনাশ। কেউ জন্মায় সোনার চামচ নিয়ে আবার কারও ভাগ্যে জোটেই না কোন চামচ’- তেমনি এক অসহায় শিশু মাখন। ফুটপাতেই তার ঘর-বাড়ি। রাতেও ঘুমায় সেই ফুটপাতেই। গত মঙ্গলবার কবি-সাংবাদিক-সংগঠক রফিক মজিদের চোখে শিশুটি নজরে আসে। এরপর মঙ্গলবার ভোরে তিনি মাখনকে তার বাসায় এনে আদর-সোহাগ দিয়ে তার ভবিষ্যত জীবনের চিন্তা করছিলেন। কির্ন্তু ৬ অক্টোবর বুধবার মাখন আবার তার সেই ফুটপাতের জীবনই বেছে নিলো। কোন ভাবেই তাকে আর ধরে রাখা গেলো না। রফিক মজিদ জানান, আসলে মাখনের দোষ নেই। পরিবার বিচ্ছিন্ন ও অনাদরে ফুটপাতে বেড়ে ওঠা মাখনের রক্ত-ধমণীতে বইছে ফুটপাতের ছন্নছাড়া জীবনের বাতাস। ক্ষুধা আর অনাদরে মাখন অনেকটা বিকারগ্রস্থ হয়ে আছে। অনেকটা সে নেশাগ্রস্থের মতোই ছুটে যায় তার ফুটপাত জীবনে। মঙ্গলবার ভোরে যখন তাকে বাসায় এনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে খওয়া দেয়া হলো তখন সে অরুচির ভাব দেখিয়ে আমার ছেলের খেলনা পেয়ে খেলায় মত্ত হয়ে উঠে। এভাবে বেশ কয়েক ঘণ্টা খেলার মাঝেই হঠাৎ বলে উঠলো, ‘আমি দাদির কাছে যাবো।’ আমি বললাম দুপুরে খেয়ে পরে যাও। কিন্তু নাছোর বান্দা, আমি বার বার বোঝাচ্ছিলাম দুপুরে অন্তত খেয়ে যাও। কিন্তু না কোন কিছুই মানছে না। ফুটপাত যেনো তাকে নেশার মতো ডাকছে। এক পর্যায়ে জেদি হয়ে উঠার পর বুঝতে পারলাম তাকে আর আটকানো যাবে না। ছেড়ে দিলাম তাকে তার ভাগ্যের কাছে। এরপর সারাদিন আর রাত অপক্ষায় ছিলাম যদি আসে-। কিন্তু না, মাখন আর আসলো না। আজ ভোরে হাঁটতে বেড়িয়ে দেখি, মাখন সেই ফুটপাতকেই বেঁছে নিয়েছে। সেখানের নাইট গার্ড চাচা আমাকে বলেন, এর আগে অনেকেই তাকে পড়াশোনার জন্য এবং বাসায় বিভিন্ন কাজের জন্য নিয়ে গেলেও কয়দিন পর আবারও এখানে ফিরে আসে। আসলে মাখনের ভালো চিকিৎসা দরকার, সেই সাথে নার্সিং। রফিক মজিদ আরও বলেন, তবে আমার ইচ্ছার কমতি ছিলো না। অনেক চেষ্টা করি মাখনকে স্বাভাবিক জীবনে আনা যায় কী না! অনেকে আমাকে ফোন করে মাখনকে চেয়েছেন লালন-পালনের জন্য, অনেকে আবার আমার মহৎ কাজের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছন। Related posts:লোকসানের পথে ঝিনাইগাতীর দুই মৎস্য খামারিশুভ জন্মদিন প্রিয় নির্বাহী সম্পাদকশেরপুরে জাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা Post Views: ২২৪ SHARES শেরপুর বিষয়: