নকলা মুক্ত দিবস আজ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১:০৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২১ আজ ৯ ডিসেম্বর; শেরপুরের নকলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এ দিনে মুক্তিযুদ্ধ ১১ নম্বর সাব-সেক্টর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে টুআইসি আব্দুর রশিদ এবং সিকিউরিটি অফিসার একলিম শাহসহ প্রায় ১৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১৭ জন রাজাকার, আলবদর, দালাল ও আলশামছ বাহিনীর সদস্যকে আত্মসমর্পন করানোর মধ্য দিয়ে নকলাকে হানাদার বাহিনী মুক্ত ঘোষণা করে স্থানীয় নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিকামী জনতাসহ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জানা যায় ১৯৭১ সনের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ১১ নম্বর সাব-সেক্টর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা নকলাকে হানাদার মুক্ত করতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ঢালু থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ৮ ডিসেম্বর তারা নকলা উপজেলার রুণীগাঁও গ্রামে অবস্থান করে উপজেলা সদরে অবস্থিত রাজাকার-আলবদর ক্যাম্প আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সেদিন বিকেলে আব্দুল হক চৌধুরী জানতে পারেন লেফটেন্যান্ট আবু তাহের তার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে উপজেলার পলাশকান্দি গ্রামে অবস্থান করতেছেন। সেদিন রাতে তার যোগাযোগ হয় আবু তাহেরের সাথে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাতেই একজন মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে রাজাকার-আলবদর ক্যাম্পে পত্র পাঠানো হয় তাদেরকে আত্মসমর্পনের জন্য। কিন্তু নকলা রাজাকার-আলবদর ক্যাম্পের প্রতিনিধি, পাকহানার বাহিনীর দোসর, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবর রহমান পত্রের কোন জবাব না দিয়ে আক্রমণের হুমকি স্বরূপ বাহকের নিকট একটি বুলেট পাঠায়। মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকার-আলবদর ক্যাম্পে ভয়াবহ আক্রমণ চালাতে পারে এ ভয়ে ৯ ডিসেম্বর ভোরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পলাশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ওৎ পেতে থাকা কমান্ডার আব্দুল হক চৌধুরীর নেতুত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ১১৭ জন রাজাকার, আলবদর, দালাল ও আলশামছ বাহিনীর সদস্য ধরা পড়ে এবং আত্মসমর্পণ করে। Related posts:জাতীয় পতাকা হাতে প্রধানমন্ত্রীর শপথবাক্য পাঠ করলেন শেরপুরের হাজার হাজার মানুষড্রেনে ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব, ঝিনাইগাতীতে সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলে চরম ভোগান্তিশেরপুরে ইজিবাইক চার্জ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল চালকের Post Views: ১৭৭ SHARES শেরপুর বিষয়: