ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে শেরপুরে ফুল কেনার ধুম!

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২

কাল ১৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার পয়লা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিন অনেকে প্রিয়জনদের ফুল উপহার দেন। তাই ফুলের কদর বাড়ে। এ জন্য আগের দিনই ব্যস্ত হয়ে ওঠে ফুলের বাজার। রবিবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে, ফুলের দোকানগুলোতে ভিড়। নির্ধারিত দোকানের বাইরে রাস্তার পাশে পসরা সাজানো হয়েছে।

গোলাপ, রজনীগন্ধা, লিলি, গাঁদা, জিপসি, রঙ্গন, জারবেরা, কাঠমালতি, অর্কিডসহ অসংখ্য ফুল সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
করোনা অতিমারির আশঙ্কায় বেশ কয়েক মাস ফুলের বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। পরে ফুলের বাজারের বিক্রেতারা দোকান খুলে বসলেও, ক্রেতার দেখা পাননি। এরপর ঈদ ও নববর্ষ এলেও করোনার সংক্রমণের হার বেশি থাকায় বিকিকিনি একেবারেই কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কম হওয়ায় এবং সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার ফুল বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পুষ্প কানন নামের একটি দোকানের মালিক মো. সেলিম মিয়া। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দিন পর বেচাকেনা অনেক ভালো।’ ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উপলক্ষে রোববার অনেক ফুল বিক্রির আশা করছেন তিনি।
ফুলের মেলা দোকানের মালিক মো. মূসা মিয়া বলেন, ‘আমি ১০/১২ বছর ধরে ফুল বিক্রি করি। বিশেষ দিনে বেশি বেচাকেনা হয়। ভালো লাভ হয়। এই দিনে ফুলের চাহিদা বেশি হওয়াই দাম একটু বেশি। কিন্তু বিশেষ দিন উপলক্ষে ক্রেতারা দাম একটু বেশি নিয়ে কোনো প্রশ্ন করে না।
প্রিয়জনের জন্য ফুল কিনতে আসা সাংবাদিক জুবাইদুল ইসলাম তার মনের আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর একটা দিবসে হাঁফ ছেড়ে কিছুটা আনন্দ উপভোগের সুযোগ হয়েছে। তাই ফুল কিনতেছি। কাল সোমবার পান্জাবি পরে প্রিয়জনকে নিয়ে বাইকে করে বের হব।’
ভালোবাসার মানুষের জন্য ফুল কিনতে আসা ফটোগ্রাফার জয়ন্ত দে বলেন, এই দিন তো একদিনই আসে। আর ফুল ছাড়া কি ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা করা যায়। তাই ফুল কিনতে এসেছি।

তরুণ সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকির বলেন, ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে খুশি রাখতে কে না চায়। তাই ফুল কিনতে এসেছি আমিও। ফুল কাকে দেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজনকে না একজনকে তো দিবই।
প্রিয়তমার জন্য ফুল কিনতে আসা হাসানুল বান্না সিফাত বলেন, ফুলের দাম আজ কিছুটা বেশি হলেও আজ ফুল কিনতে হবে। কারণ কাল ভালোবাসা দিবস। প্রিয়তমাকে ফুল দিতে হবে।


কথা হয় ফুল কিনতে আসা রাব্বি ও ঝরনা দম্পতির সঙ্গে। তারা বলেন, ‘এটা আমাদের বিবাহিত জীবনের আট বছরের বসন্ত। আগে ভালোবাসা দিবস পালন করলেও বিগত দুই বছর বৈশ্বিক মহামারির জন্য ভালোভাবে দিবস ও পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়নি। এইবার পৃথিবীটা কিছুটা শান্ত হওয়াতে আমরা এবার বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার একটু আলাদাভাবে পালন করার জন্য পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে বের হইছি। ফুল কিনতেছি। খুব ভালো লাগছে।