শেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে ৪২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০২২

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী শেরপুরে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ মে শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা শহরসহ সব উপজেলায় ওই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় পুরো জেলায় মোট ৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার তাৎক্ষণিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গেছে, শেরপুর জেলার ১০১টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বেশিরভাগেরই নেই স্বাস্থ্য বিভাগের যথাযথ অনুমোদন। গত ২৬ মে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর সারাদেশে নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ মোতাবেক শনিবার দিনব্যাপী জেলাজুড়ে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ওইসময় অনুমোদন না থাকায় ১০১‌টির ম‌ধ্যে ৪২‌টি ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করে করা হয়।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৬টি, শ্রীবরদীতে ৬টি, ঝিনাইগাতীতে ৩টি, না‌লিতাবাড়ীতে ৫টি, নকলায় ২টি ক্লিনিক রয়েছে।


ওইসময় যে সকল প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ রয়েছে, তাদের কাগজপত্র হালনাগাদ করতে আগামী ১৫ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। তা না হলে সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অভিযানকালে জেলা সি‌ভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সি‌ভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে, কিন্তু দাপ্তরিক দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তা প্রক্রিয়াধীন আছে, তারা এ অভিযানের আওতামুক্ত থাকবে। কিন্তু যারা ন্যূনতম কোন অনুমোদনের পরোয়া না করে ব্যবসা করছেন তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনিবন্ধিত সব অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।