এ পর্যন্ত সংলাপগুলো থেকে অভিন্ন কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি: সিইসি

প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২২

‘কোনো অপশক্তির চাপে মাথা নত করব না। সংসদ নির্বাচন কঠিন ও ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। তবে, সবার আন্তরিক ও সমন্বিত প্রয়াস থাকলে এ ধরনের কর্মযজ্ঞ সাধন অসাধ্য নয়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে এ নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করা সম্ভব নয়। এতে সবার সমবেত প্রয়াস দরকার।

২১ জুলাই বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে গণফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে এসব মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, এ পর্যন্ত সংলাপগুলো থেকে অভিন্ন কয়েকটি প্রস্তাব পেয়েছি। অধিকাংশ দল অস্ত্রশক্তি, অর্থশক্তি, পেশিশক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলে ধরেছে। অবাধ, নির্বঘ্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এ বিষয়গুলো প্রতিরোধ করতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিতর্ক চলছে। আমি বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরব। এটি নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রয়োজন। আপনারা সরকারের কাছে প্রস্তাব দেন। আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো উপযুক্ত প্রস্তাব মেনে নেওয়ার মানসিকতা অবশ্যই একটি দায়িত্বশীল সরকারের থাকবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, অন্তত নির্বাচনকালীন সময়ে জনপ্রশাসনকে বিরাজনীতিকরণ করতে হবে। প্রশাসনের লোকজন যাতে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারেন তার জন্য আইন করা প্রয়োজন। এছাড়া, সমঝোতার প্রয়োজন আছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসতে পারে।
সিইসি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় ইসির অনেক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, আছে। নির্বাচনকালীন সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে ইসিকে সহায়তা করতে হবে। এটি সরকারের সাংবিধানিক সংবিধিবদ্ধ দায়িত্ব হবে। কমিশন তার ক্ষমতা সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে প্রয়োগ করবে। প্রয়োজনে নির্বাহী সব কর্তৃপক্ষকে ইসির আদেশ-নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হুসেনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। এছাড়া, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।