শ্রীবরদীতে স্ত্রীকে হত্যা করে ১১ বছর আত্মগোপনে থাকা স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২

শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক স্বামীকে ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। ১৩ নভেম্বর রবিবার রাতে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল জামালপুর সদরের নান্দিনা এলাকার আত্মীয়ের বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, আসামী ফুরকান আলী (৩৫)। তিনি উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে। স্ত্রীকে হত্যার পর তিনি ১১ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
মামলা সূত্রে র‌্যাব জানিয়েছে, ফুরকান আলীর সাথে শ্রীবরদী থানার ঘেরামারা গ্রামের জব্বার আলীর মেয়ে ভিকটিম জহুরা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই জুয়ায় আসক্ত হয়ে যৌতুকের দাবিতে ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় এক পযার্য়ে ২০১১ সালের জুলাই মাসের দুই তারিখ রাতে ভিকটিমকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। পরে ভিকটিমের ভাই ভোরে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তার বাবা-মা সহ বাড়ির লোকজনকে নিয়ে বোনের বাড়িতে আসেন। ভিকটিমের গলা ও স্তনসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জখমের চিহ্ন দেখে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, তারা মধ্যরাতে ভিকটিমের চিৎকার শুনেছেন। পরে তারা ভোরবেলা আসামীর ঘরে ভিকটিমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামী ফুরকান আলী আত্মগোপনে চলে যায়। এসময়ে দেশের বিভিন্নস্থানে কখনও অটোচালক, শ্রমিক, দিনমজুর, বাসের হেলপার পেশায় পরিচয় দিয়েছেন।
পরবর্তীতে আদালত আসামী ফুরকান আলীকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন। ওই ঘটনায় র‌্যাব-১৪ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেপ্তার করে।
র‍্যাবের কোম্পানী কমান্ডার আশিক উজ্জামান বলেন, এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র‍্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।