শেরপুরে ১৩ বছর পর শিশু ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৮:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৩

শেরপুরের নকলা থানাধীন চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা আসামি মো. আল-আমিন (৩২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪।

২৪ মে বুধবার দিবাগত রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান। একইদিন দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম নকলা উপজেলার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন। মো. আল-আমিন পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। ২০১০ সালের ১৮ মার্চ দুপুরে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ি ফেরার পথে তাকে বিদ্যালয় থেকে ২০০ গজ পূর্বে পাকা রাস্তার কালভার্টের পাশে ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধষর্ণ করে পালিয়ে যায় আল-আমিন।
পরে ভিকটিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। ওই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা নকলা থানায় আল আমিনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকেই আল আমিন পলাতক ছিল। ওই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ২০২০ সালের ১৮ মার্চ আসামি মো. আল-আমিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে র‌্যাব-১৪ বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে পলাতক আসামি আল আমিনের অবস্থান শনাক্ত করে কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
র‌্যাব-১৪’র কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, আল আমিন আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। পরে ধৃত আসামিকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।