নকলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৪

শেরপুরের নকলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক ট্রাক চালকের লাশ উদ্ধার করেছে নকলা থানা পুলিশ। ১৪ এপ্রিল রবিবার ভোররাতে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামা কৈয়াকুড়ি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। রহিম নকলা পৌরসভার জালালপুর মহল্লার হাবিল উদ্দিনের ছেলে। তবে বছর তিনেক ধরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরালয়ে থাকতেন।

জানা যায়, ৮ বছর আগে রহিমের সাথে নাছিমা আক্তারের (২৪) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ৩ বছর আগে রহিম শ্বশুরবাড়িতে চলে আসে। গত ৬ মাস আগে রহিম স্ট্রোকজনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে স্বপরিবারে রহিম ঢাকায় চলে যায় এবং সেখানে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকরি নেয় রহিমের স্ত্রী।
রহিমের স্ত্রী নাছিমা আক্তার জানান, ঈদুল ফিতরের আগেরদিন আমি বাড়ি চলে আসি। আমার স্বামী আসেন ঈদেরদিন রাত ১২টার দিকে। শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রহিম বাড়ির পাশে পাঠাকাটা বাজার থেকে মোবাইলফোনের মিনিটকার্ড আনার কথা বলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। ভোররাতে বসতঘরের অদূরে একটি কড়ইগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই।
রহিমের ছোটবোন কাজলী আক্তার (৩৫) জানান, আমার ভাই রহিমের সাথে তার স্ত্রী নাছিমা কিংবা শ্বশুরবাড়ির কারও বিরোধ ছিল কিনা তা আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের মিয়া জানান, খবর পেয়ে রহিমের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ৬ মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে রহিম অসুস্থ্য হওয়ার পর থেকে সে কোন কর্ম করতে পারতো না। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার প্রায় ৬০ হাজার টাকা দেনা হয়ে যায়। এসব কারণেও সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তবে আমরা মুত্যুর সঠিক কারণ জানতে রহিমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলাসদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।