শেরপুরে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে বন কর্মকর্তা বরখাস্ত অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৪ শেরপুরে বনবিভাগের সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি বনায়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রবিউল ইসলাম নামে এক বন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিউল ইসলাম শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। জানা গেছে, ২০১৬ সালে রবিউল ইসলাম ময়মনসিংহ বন বিভাগের অধীন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তার বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জে। তিনি এখানে যোগদানের পরপরই বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের এলাকার লোক হিসেবে দাপটে একই কর্মস্থলে ৮ বছর চাকুরি করেন। মন্ত্রীর এলাকার লোক হিসাবে ৮ বছর চাকরিকালীন সময়ে তিনি কাউকেই তোয়াক্কা করেননি বলে স্থানীয়রা জানান। তিনি ছিলেন একজন দাপুটে বন কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, গত ৮ বছরে তিনি নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণের অর্থের মালিক বনে গেছেন। তার এসব দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে নিলামে কাঠবিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে নিজের পকেটস্থ করা। এভাবে তিনি গত ৮ বছরে একই কর্মস্থলে থেকে শুধু সরকারি অর্থই প্রায় ১০ কোটি টাকা হরিলুট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ মাস পূর্বে বালিজুরি রেঞ্জ থেকে তার বদলি হলে নতুন বন কর্মকর্তা সুমন মিয়া যোগদানের পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৯ মে বন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করে বন বিভাগ। তার এসব অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা হলেন আহ্বায়ক নেত্রকোনার সহকারী বনসংরক্ষক এ.এফ.জি মোস্তফা, শেরপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহের উথুরা রেঞ্জ কর্মকর্তা আ ছ ম রিদুয়ানুল হক, রাংটিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিম, শেরপুরের এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ইতোমধ্যেই এ তদন্ত কমিটি তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। গত ১০ বছরের রবিউল ইসলামের সকল কর্মকান্ডের তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির কর্মকর্তারা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কোন কথা বলবেন না বলে ফোন রেখে দেন। এরপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান বলেন, টাকার গরমিল আছে। তবে তদন্তধীন বিষয় নিয়ে আর মন্তব্য করতে তিনি রাজি হননি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, কি পরিমাণের দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত শেষে জানা যাবে। Related posts:শেরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মাদক বিক্রেতাকে কারাদণ্ডনকলা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মারা গেছেনঝিনাইগাতীতে উত্তরণ কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Post Views: ৯৯ SHARES শেরপুর বিষয়: