শেরপুরের বাজিতখিলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪ শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। এতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, টিআর, জিআর, কাবিটার টাকা আত্মসাৎ, ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান খুররম জানান, তিনি নিয়মের মধ্যে থেকেই কাজ করছেন। জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর ১০ ইউপি সদস্যের দেওয়া লিখিত অভিযোগ বলা হয়, শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্যাহ আল-হাসান খুররম এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্যদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা ও নানা অনিয়ম করে আসছেন। বাজিতখিলা বাজারে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন বিক্রি করে ২৫ শতাংশ জমির উপর নতুন করে মার্কেট নির্মাণ করে ২৪টি দোকান ভাড়া দিয়ে প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকা জামানত নিলেও তা পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া নিজের পক্ষাশ্রিত ইউপি সদস্যকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন। গত ৩ অর্থবছরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার ৬০০ লাইসেন্স বিক্রি করে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। টিআর, কাবিটা, জিআর প্রকল্প দিয়ে কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরিষদের জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদপত্র, নাগরিকত্ব সনদ এবং ট্যাক্স যথাযথ আদায় করে তার কোন হিসাব-নিকাশ ছাড়াই নিজেই ভোগ করেছেন। এছাড়া গর্ভবতী কার্ড, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ ৪০ দিনের কর্মসূচীর নামে আত্মীয়-স্বজনের নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউপি সদস্য লাল মিয়া, মো. আব্দুল হালিম ও মো. আমিনুল ইসলাম ফকির জানান, ইউনিয়নের যে রাজস্ব আয়, সেগুলোও সঠিকভাবে রাজস্ব খাতে জমা দেন না চেয়ারম্যান। আমরা চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম বলেন, এগুলো সব ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট। এর কোন সত্যতা বা ডকুমেন্টস নাই। যে ১০ জন ইউপি সদস্য অভিযোগ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ৭ জন সদস্য ইতোমধ্যে আমার কাছে লিখিত দিয়েছেন যে তারা অন্য কাগজে সাক্ষর দিয়েছিলেন। কতিপয় ইউপি সদস্য তাদের সাক্ষর জাল করেছেন। আমি নিয়মের বাইরে কোন কাজ না করে দেওয়ায় এখন ৩ জন ইউপি সদস্য এমন অভিযোগ করছেন। এ ব্যাপারে শেরপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মনিরুল হাসান বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে সেটি সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠিয়ে দেই। যেহেতু স্থানীয় সরকারের বিষয়, তাই অভিযোগটি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে তদন্ত হবে। শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপ-সচিব) তোফায়েল আহমেদ বলেন, অভিযোগটি আমি এখনও দেখতে পারিনি। বিষয়টি আমি দেখব। Related posts:নকলায় ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারপ্রয়াত শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা’র ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিতঝিনাইগাতীতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু Post Views: ১৮৩ SHARES শেরপুর বিষয়: