শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১০:০৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে শহরের সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী মাঠে আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও ময়মনসিংহ বিভাগের টিম লিডার লুৎফর রহমান। ওইসময় তিনি ছাত্র-জনতার হাতেই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতন হলেও তার প্রেতাত্মারা এখনও নানা জায়গায় বিচরণ করছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতা ধরে রেখে মানুষকে যেভাবে হয়রানি, নির্যাতন, গুম-খুন করেছে, ঠিক একইভাবে অন্য কোন ফ্যাসিস্ট যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই কাজ করে তা ছাত্র-জনতা মেনে নিবে না। তাই দেশ পুনর্গঠন, রাষ্ট্র সংস্কার এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরোধী ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।


ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহনাফ সাঈদ খান, কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাকিবুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি সোহানুর রহমান সোহাগ ও ইসরাত জাহান সূচনা, সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি সূচনা আফরিন সর্মি ও সুমাইয়া আফরিন, শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটির প্রতিনধি রকিবুল ইসলাম আইনী, সরকারী তিতুমীর কলেজের প্রতিনিধি সাখাওত হোসেন, তৌহিদ সিয়াম প্রমুখ।
এর আগে জেলা সমন্বয়কারী দাবিদার জাকিয়া পারভীন জেরীনের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী তাদের পাশ কাটানোর অভিযোগ তুলে মতবিনিময় সভাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ নিরাপত্তা জোরদার করে। বিশৃঙ্খলার জবাবে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের দোসর ও চাঁদাবাজ। এছাড়া তিনি গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি কাজ করেছেন। তিনি তাকে সন্ধ্যার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান।
তবে জাকিয়া পারভীন জেরীন বলেন, আমি শুরু থেকেই আন্দোলনের মাঠে ছিলাম। যারা সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও শিক্ষকদের হেনস্থা করে বিতর্কিত হয়েছে। তারাই আজ আমাদের পাশ কাটিয়ে চলছে।
এদিকে সকালে শেরপুরের ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত, শেরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে শহীদি পরিবার এবং আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। পরে দুপুরে জেলা কালেক্টরেট ভবনের তুলশীমালা ট্রেনিং সেন্টার কাম সভাকক্ষে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেন তারা।